Main Menu

রেল টিকিট কালোবাজারীরা বেপরোয়া :নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, দূর্ভোগে যাত্রীরা

+100%-

নিজস্ব সংবাদদাতা : রেল স্টেশনে রিক্সা থেকে নামতেই কালোবাজারী ভাগ্নের ডাক মামু ! কোন গাড়ী ? ক’ডা লাগব ? বল্লাম কোনডা কতরে ? ভাইগ্না : ওমা ইডা কিতা কন ? আরে বেডা হ ! উপকুল ঢাহার কত ? নোয়াহালীর কত ? মহানগর ঢাহা কত ? চিটাগাং কত ? ক ! পাশ থেকে আরেক কালোবাজারী তাঁকে উদ্দেশ্য করে, ঐ বেডা ইলারে চিনছ্ ? ইলা সাংবাদিক বাঁশ দিব। আই সব্বনাশ ! মামু আমরার পিছে লাগজেন ? পেডের লাইগ্গা আই। হগল সাবরারে দিয়া আমরার ত কুছতা থাহে না। ১৩৫ টেহার টিকেট ২০০ টেহা দিয়া কাউন্টার ওলাত্তে লই। এর পর দারগা পুলিশরে দিয়া সারাদিনে ২০/৫০ টেহা থাহে। আইচ্ছা হুইন্না যা। কাছে আ। বলতেই সটকে পড়ল সে। যাগগে,  অবরোধকে পুঁজি করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পূর্বাঞ্চল রেল পথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের টিকিট কালোবাজারী চক্র। এদের নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যাত্রী সাধারণ হচ্ছে চরম ভূগান্তি শিকার। অবরোধের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দূর পাল্লার কোন যানবাহন চলাচল না করায় মানুষ অপারগ হয়েই কালোবাজারীদের কাছ থেকে রেল টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এখানকার বুকিং কাউন্টারে ৫ দিন পূর্বে অগ্রিম টিকিট দেয়ার কথা থাকলেও নিধারিত সময়ের পূর্বেই আসন শেষ বলে জানিয়ে দেয়া হয়। অথচ কালোবাজারীদের হাতে টাকা দিলে তাৎক্ষনিকই আবার তাঁরা কাউন্টার থেকেই টিকিট এনে দিচ্ছে। এ যেন শুভঙ্করের ফাঁকি। আবার খরিদা টিকিট নিধারিত মূল্যের ৪০% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে ফেরৎ দিতে হয়। টিকিট  অসাধু বুকিং ক্লার্কদের সহযোগীতায় স্থানীয় কালোবাজারী চক্র আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করেই দিব্যি এ ব্যাবসা করে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, মাসোহারা বৃদ্ধির জন্যে মাঝে মধ্যে এ চক্রের কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে। ঢাকা গামী মহানগর গোধূলী ট্রেনের যাত্রী তাসলিমা বেগম জানান, কাউন্টারের বাইরে থেকে দূ’টো টিকিট ২৭০ টাকার স্থলে ৬০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূমি অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি মহানগর প্রভাতির ফেনীর টিকিট বুধবার সন্ধ্যায় ১৩৫ টাকার স্থলে কালোবাজারীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান টিকিট কালোবাজারীর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এখানে দু’মাস হলো যোগদান করেছি। সকলের সহযোগীতা পেলে এ অপরাধ অচিরেই দমন করা সম্ভব হবে।






Shares