সিভিল সার্জনের ঘুষ,দুর্নীতি :: কসবায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লাঞ্চিত,কক্ষে তালা



ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের অধীনে স্বাস্থ্য সহকারিসহ বিভিন্ন পদে ১৭২ জন লোক নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নারায়ণ চন্দ্র দাসের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হওয়ার ঘটনায় এবার কসবায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লাঞ্চিত,চেয়ার ভাংচুর,কক্ষে তালা দিয়েছে চাকুরী বঞ্চিতরা। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমরান উদ্দি জুয়েলের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। রবিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।প্রতিবাদে পুরো বেলা কর্মবিরতি পালিত হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়।জানা যায়,এ বছরের ১৩ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন পদে ১৭২ জন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।২৮ মার্চ এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার পর ৩ এপ্রিল প্রতি পদে ৫ জন করে পাশ করিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে।১৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২৬ জুলাই ১৭২ জনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।এরপরই সিভিল সার্জন ডা.নারায়ন চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ,দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।গত ৩০ জুলাই কসবা থানায় স্বাস্থ্য সহকারির চাকুরী প্রার্থী কসবা উপজেলার জাজিসার গ্রামের রাহাত সুলতানা ১২ জনের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ ৩৬ লাখ টাকা নিয়েও চাকুরী না দেয়ায় সিভিল সার্জন ডা.নারায়ন চন্দ্র দাস সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।সিভিল সার্জনের ঘুষ,দুর্নীতির প্রতিবাদে ৩ আগস্ট কসবায় নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এরপর থেকে কসবায় চাকুরী প্রাপ্তরা যোগদান করেনি।গতকাল রবিবার সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে চাকুরী প্রাপ্তরা যোগদান করেছে।এ ঘটনায় কসবায় চাকুরী বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার পর চাকুরী বঞ্চিত ও তাদের স্বজনরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় চড়াও হয়।কর্মকর্তা ডা.ইকবাল হোসেন জানান,রবিবার সাড়ে ১১ টার পর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েলের নেতৃত্বে একদল যুবক সহ চাকুরী বঞ্চিতরা আমার কক্ষে এসে আমাকে জোর করে বের করে দিয়ে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।এসময় আমার সাথে অশোভন আচরন করা হয়।এ ঘটনার খবর পেয়ে চিকিৎসক,কর্মকর্তা,কর্মচারিরা একসাথে হয়ে অবস্থা নিয়ে থাকি।আমরা এরপর থেকে হাসপাতালের কোনো কাজ করিনি।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।তাদের নির্দেশ পেলে আরো কর্মসূচী সহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত,রুমে তালা দেয়ার সাথে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল জানান,সিভিল সার্জন অফিসের অধীনে বিভিন্ন পদে চাকুরী বঞ্চিতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে তালা দিয়েছে।আমি পরে এসে ঘটনা শুনেছি।এসময় আমরা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছি।