নাসিরনগরে সামাজিক বনায়নের অর্থ আত্মসাত করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান



ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার তিলপাড়া ভোলাউক সংযোগ সড়কে সামাজিক বনায়নের অর্থ আত্মসাত করেছে উপজেলা চেয়ারম্যান এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার। জানা গেছে ১৯৯৭/৯৮ সালে আশুরাইল চামেলী যুব সংগঠন উক্ত রাস্তা র দুই কিলোমিটার অংশে সামাজিক বনায়ন সৃজন করে। ২০১২ সালে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক উক্ত বনায়নকৃত বৃক্ষ কর্তন করা হয়। কর্তনকৃত বৃক্ষের লভ্যাংশ উপকার ভোগী সংগঠন, বন বিভাগ, ভূমি মালিক সংস্থার মাঝে বিধি মোতাবেক বন্টন করা হয়। ভূমি মালিক সংস্থার পক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ২০% ও ইউনিয়ন পরিষদ কর ৫% মোট ২৫%হারে প্রায় ৭ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার চেক বন বিভাগ থেকে গ্রহণ করে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার। ২১ মার্চ ২০১২ তারিখে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত মনিরুজ্জামান সরকারের নামে অগ্রণী ব্যাংক টমছম ব্রীজ কুমিল্লা শাখার ১২৭২নং সঞ্চয়ী হিসাব থেকে চেকটি ইস্যু করে বন বিভাগ। পরে নাসিরনগর স্থানীয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বন কর্তৃপক্ষ চেকটি তুলে দেন মনিরুজ্জামানের হাতে, সাথে উপকার ভোগিদের ও ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে অভিযোগ রয়েছে চেকটি হাতে পেয়ে এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার তার ব্যাক্তিগত একাউন্টে জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেয়। পরে তিনি পরিষদের সকল সদস্যদের ডেকে কিছু সরকারী অর্থ আসবে তা দিয়ে পরিষদ রং করার দরকার বলে এক রেজুলেশনে তাদের স্বাক্ষর আদায় করে নেয়। পরে উক্ত টাকা উত্তোলন করে পরিষদের সদস্যদের মাঝে ৫ হাজার টাকা করে তাদের মাসিক সম্মানি ভাতা হিসাবে প্রদান করেন। অবশিষ্ট টাকা পরিষদের উন্নয়ন মূলক কোন কাজ না করে তিনি নিজেই আত্মসাত করে ফেলেন বলে জানান ইউপি সদস্যরা। পরবর্তীতে উক্ত রাস্তায় পূর্ণরায় সামাজিক বনায়ন করেন সংগঠনটি। পরবর্তী বনায়নের সময় শুরু থেকে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান ও মহিলা সদস্যা লক্ষীপুর গ্রামের হাজী ছফিল উদ্দিনের মেয়ে ভোলাউক গ্রামের লায়লা আক্তারের নাম বাদ দিয়ে তার চাচা রাজাকার আবুল কামাল সরকারের দুই ছেলে শাহবাল সরকার ও শাহ আলম সরকার, ভোলাউক গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও জলিল মিয়ার নাম অর্ন্তভূক্ত করে ৩০ জুন ২০১২ তারিখে চুক্তিনামা সম্পাদন করে। জানা গেছে উক্ত রাস্তায় পরবর্তী বনায়নের জন্য উপকার ভোগীদের লভ্যাংশের ১০% টাকা কর্তন করে রাখে বন বিভাগ। পরবর্তী বনায়নের পূর্বে সনংগঠনের সদস্যদের মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। সদস্যদের বিশৃংখলা সমাধান করে চুক্তিনাম সম্পাদন করে দিতে চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন সংঘঠনের সাধারণ সভাপতি আব্দুল হান্নান। চেয়ারম্যান সদস্যদের সমস্যা না করে সভাপতি লিখিত আবেদনের কোন তোয়াক্কা না করে চুক্তি নামা সম্পাদন করে দেয়। তাতে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে সমস্যা রয়ে যায়। বর্তমানে চেয়ারম্যানের এরূপ কর্মকান্ডের ফলে সদস্যদের বনায়নের প্রায় দুই লাখ টাকার অধিক এখনো আটকে রয়েছে বন বিভাগে।
এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ গুলো সত্য নয় দাবি করে ইউনিয়ন সচিবের কাছে তথ্য জানতে এই প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।