আশুগঞ্জে সংঘর্ষে আহত শতাধিক, গ্রেপ্তার ২০



ডেস্ক ২৪:: পূর্ব বিরোধের জের ধরে আশুগঞ্জের দুর্গাপুরে গতকাল সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দু’পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০টি বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২৪শে আগস্ট সোমবার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়াডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিজানুর রহমানের মধ্যে এলাকায় ডাকাতির ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুর্গাপুর গ্রামের হাজী বাড়ির ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের পক্ষ ও পার্শ্ববর্তী তাজপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সিজানুর রহমানের পক্ষের লোকজনে সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরেই গতকাল আবারও উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দু-গ্রামের অন্তত ১৫টি স্পটে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষে দু-গ্রামের কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ থানার, অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ও র্যাব গিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ অন্তত ২০ জন দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করে। সংঘর্ষ চলাকালে দাঙ্গাবাজদের হামলায় আশুগঞ্জ থানার এএসআই মাসুদুর রহমান আহত হয়েছে। সংঘর্ষে কামাল মেম্বারের পক্ষের অন্তত ২০টি বাড়ি ঘর ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মহিউদ্দিন খান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।