Main Menu

সবচেয়ে বড় বহর নিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

+100%-

pm
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বোচ্চ ২২৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তার সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে বিদেশ যাত্রা।

জাতিসংঘের এ সম্মেলনে সংস্থাটির ৭০ তম সাধারণ পরিষদে যোগদান ছাড়াও সেখানে স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে ১৭৮ জন প্রতিনিধি নিয়ে জাতিসংঘ সম্মেলনে গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে গিয়েছিলেন ১৩৪ জন নিয়ে।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী (এসএসএফ) এবং রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) দুটি অগ্রবর্তীদল নিউইয়র্ক ও লন্ডনে পৌঁছেছে। এছাড়াও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও নিউইয়র্কে পৌঁছেছে।

এ প্রতিনিধিদলের মধ্যে রয়েছেন ৯ জন মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা। আরও রয়েছেন ১৭ ‘বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব’, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৫ কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১২ কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনের ৩ কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১১ কর্মকর্তা, ২৮ নিরাপত্তা কর্মকর্তা, ১০ গণমাধ্যমকর্মী, ৪ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং ১১৯ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি। তবে ব্যবসায়ীরা সাধারণত নিজেদের খরচে ভ্রমণ করে থাকেন।

সফরে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

‘বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব’ ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয়েছে দলীয় সাংসদ, আওয়ামীলীগের নেতা এবং জোটের নেতাদের।

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের বিভিন্ন বৈঠকে যোগদান করবেন। পাশাপাশি আট দিনের এ সফরে তিনি যোগ দিবেন সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন, লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শান্তিরক্ষী সম্মেলন, আইএস বিরোধী সম্মেলনসহ আরও কয়েকটি সম্মেলনে।

এছাড়াও তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সাথেও বৈঠক করবেন। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করতে পারেন।

বুধবার সকাল পৌনে দশটায় তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে তিন ঘণ্টার যাত্রাবিরতির পর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় সেখানে পৌঁছবেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং তার সাথের প্রতিনিধিদলের বেশিরভাগ সদস্যই নিউইয়র্কে পার্ক অ্যাভিনিউয়ের হোটেল ওয়ালডর্ফ অ্যাস্টোরিয়াতে থাকবেন।

৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১ অক্টোবর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সেখান থেকে ৩ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরে আসবেন।

নিউইয়র্কে তিনি পরিবেশ বিষয়ক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়নশিপ অব আর্থ এওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন। এছাড়ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ‘আইসিটি স্থায়ী উন্নয়ন এওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্মেলনের বাইরেও তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গার্লস লিড দ্য ওয়ে’ বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।






Shares