রিকশাওয়ালা ছেলে জেলা প্রশাসক, হার না মানার গল্প
ডেস্ক ২৪: ছোট বেলা থেকেই বাবা রিকশাওয়ালা বলে অনেক অবহেলা সহ্য করতে হয়েছে তাকে। ধনী বন্ধুদের বাবা মায়ের তাচ্ছিল্য তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। তবুও দমে যাননি তিনি। বাবার রিকশা চালানো টাকায় লেখাপড়া করে ডিসি হয়েছেন। আর রিকশাওয়ালা বাবাকে নিয়ে কোনো কষ্ট নয় বরং গর্ব হয় তার।
ভারতের বারানশীর গোবিন্দ জিসওয়াল নামের এই ব্যক্তি ২০০৬ সালের ব্যাচে সিভিল সার্ভিসের ৪৮ তম স্থান অধিকার করেছিলেন।
ভারতের একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের নাইন ড্রিম প্রজেক্ট নামের একটি অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার জীবনের গল্প খুলে বলেন।
তাকে প্রশ্ন করা হয়ে যে, ছোটবেলা বন্ধুদের সাথে খেলতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেদিনের কথা কি মনে পড়ে?
উত্তরে গোবিন্দ জিসওয়াল বলেন, ”ঐ সময়টি আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। আমাদের বাসস্থান ছিলো শিল্প এলাকায়। এ কারণে সেখানে অনেক ধনী লোকের বসবাস ছিলো। একদিন আমার এক বন্ধুর বাসায় খেলতে গেলে তার বাবা জানতে চান সে কীভাবে ঘরে প্রবেশ করেছে। তখন আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বললো তোমার মত ফ্যামিলির ছেলে এই ঘরে আসার সাহস কিভাবে হলো?”
”অনেক দিন ধরে আমি এর কোনো উত্তর খুঁজে পাইনি। তবে সেদিন সবাই বলেছিলো তোমার সামাজিক অবস্থানের কারণে এটা বলা হয়েছে। যদিও আমি লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিলাম।”
জিসওয়াল জানান, ”আমি তখন জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিভাবে আমার এই সামাজিক অবস্থান পরিবর্তন করতে পারি? তখন উত্তর পেয়েছিলো, এই সমাজে তুমি প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে তোমার এই সামাজিক অবস্থা বদলে যাবে।”
”তখন আমি বলেছিলাম কোন চাকরি করলে আমি বাবার অসম্মান দূর করতে পারবো? আর সবচেয়ে বড় চাকরি কী? যার উপরে আর কিছু নেই।”
”তখন মজা করে সে বলেছিলো তুমি আইএএস হও। তার উপরে এদেশে আর বড় চাকরি নেই। তখন আমি আইএএস হওয়ার ইচ্ছা করি এবং প্রথম চেষ্টায়ই সফল হই।”
আমরা পরিবারের পাঁচ সদস্য একই রুমে থাকতাম এবং খাওয়া-দাওয়াও চলত ঐ রুমে। সেখানেই আমি পড়েছি।
এরকম জীবনের অনেক কঠিন ইতিহাস শুনিয়েছেন। নিচে ভিডিও দেয়া হলো। ভিডিওটি হিন্দি ভাষায়।