Main Menu

বাংলাদেশী মুদ্রার ইতিহাস-তুষার জিয়া

+100%-

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতালাভের পর কিছু সময় পাকিস্তানী ১, ৫ এবং ১০ রূপী ব্যবহৃত হয় যা পরের দিকেসরকার বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ প্রথম নোট চালু হয়। প্রথমে ১, ৫, ১০ এবং ১০০টাকার নোট ছাপা হয়।বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যতগুলো নোট এবং কয়েন বাজারে ছাড়া হয়েছে তারইতিহাস তুলে ধরা হলঃ

এক টাকাঃ

বাংলাদেশ স্বাধীনতালাভের পর কিছুদিন পাকিস্তানী ১রূপী প্রচলিত ছিলঃ

পরবর্তীতে ১৯৭২সালের ৪ঠা মার্চ বাংলাদেশী ১টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৭৩সালের ২রা মার্চ প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকসম্বলিত ১টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

এরপর ১৯৭৩সালের ১৮ই ডিসেম্বর পুনরায় আরেকটি ১টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

পরবর্তীতে ১৯৭৯সালের ৩রা সেপ্টেম্বর “রয়েল বেঙ্গল টাইগার“এর জলছাপসম্বলিত ১টাকার নোট ইস্যু হয়। এরপর আর কোন ১টাকার কাগুজেনোট ইস্যু হয়নিঃ

মাঝে ১৯৭৫সালে “নিকেল-কপার” দ্বারা তৈরী ১টাকার কয়েন ইস্যু হয়েছিলঃ

এরপর ১৯৯৩সালের ৯ই মে পুনরায় ১টাকার কয়েন ইস্যু হয়। পরবর্তীতে এর আকৃতি এবং রঙ ৩বার পরিবর্তন করা হয়ঃ

বিভিন্ন সময়ে ইস্যুকৃত ১টাকার কয়েনঃ

দুই টাকাঃ

১৯৮৮সালের ২৯ই ডিসেম্বর দ্বিতীয় “সরকারীনোট” ২টাকা ইস্যু হয়। এরপর আর কোন ২টাকার কাগুজে নোট ইস্যু হয়নিঃ

পরবর্তীতে ২০০৪ সালে “স্টীল“-এর তৈরী ২টাকার কয়েন ইস্যু হয়ঃ

পাঁচ টাকাঃ

১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ প্রথম ৫টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এবং ১৯৭৪ সালে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান” – এর ছবিসম্বলিত আরো দু‘টি নোটইস্যুহয়ঃ

১৯৭৬সালের ১১ই অক্টোবর “তারামসজিদ“-এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৭৮সালের ২রা মে “তারামসজিদ“-এর পরিবর্তে “কুসুমবাগ মসজিদের মেহরাব“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০৬সালের ৮ই অক্টোবর, ১৯৭৮সালের নোটটি ইস্যু হয়। পার্থক্য হল নোটটিতে ৩মিমি চওড়া নিরাপত্তাসূতা ব্যবহার করা হয়ঃ

মাঝে ১৯৯৩ সালের ১লা অক্টোবর ৫টাকার কয়েন ইস্যু হয়ঃ

দশ টাকা

১৯৭২সালের ৪ঠা মার্চ প্রথম ১০টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

পরবর্তীতে ১৯৭২সালের ২রা জুন এবং ১৯৭৩সালের ১৫ই অক্টোবর “বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমান” এর ছবিসম্বলিত আরো দু‘টি নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৭৬সালের ১১ই অক্টোবর “তারামসজিদ“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

পরবর্তীতে ১৯৭৮সালের ৩রা আগস্ট এবং ১৯৮২সালের ৩রা সেপ্টেম্বর “আতিয়া জামেমসজিদ” এর ছবিসম্বলিত ভিন্ন দু‘টি নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৯৭সালের ১১ই ডিসেম্বর “লালবাগ কেল্লামসজিদ“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০০সালের ১৪ই ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া থেকে ১০টাকার পলিমার নোট তৈরী করে আনা হয় যা বাংলাদেশের জন্য ব্যবহারের অনুপযোগীঃ

২০০২সালের ৭ই জানুয়ারী ১০টাকার আরেকটি নোট ইস্যু হয়ঃ

সর্বশেষ২ ০০৬সালের ২১ই সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা উপাদান বাড়িয়ে পুনরায় আগের নোটটি ইস্যু হয়ঃ

বিশ টাকাঃ

১৯৭৯সালের ২০ই আগস্ট প্রথম ২০টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

পরবর্তীতে হলগ্রাফিক নিরাপত্তা সংযুক্ত করে ২০০২সালের ১৩ইজুলাই পুনরায় আগের নোটটি ইস্যু হয়ঃ

পঞ্চাশ টাকা

১৯৭৬সালের ১লা মার্চ প্রথম ৫০টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৭৯সালের ৪ঠা “তারামসজিদ“এর পরিবর্তে “ষাটগুম্বুজমসজিদ“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৮৭সালের ২৪ই আগস্ট প্রথমবারের মত “স্মৃতিসৌধ“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

এরপর ১৯৯৯সালের ২২ই আগস্ট এবং ঈষৎ পরিবর্তন করে ২০০৩সালের ১২ই মে একই নোট ইস্যু হয়ঃ

একশ টাকাঃ

১৯৭২সালের ৪ঠা মার্চ প্রথম ১০০টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৭২সালের ১লা সেপ্টেম্বর “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান” এর ছবিসম্বলিত এবং ১৯৭৬ সালের ১লামার্চ “তারামসজিদ“এর ছবিসম্বলিত দু‘টিএকই ডিজাইনের নোট ইস্যু হয়ঃ

১৯৭৭সালের ১৫ই ডিসেম্বর সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ১০০টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০১সালের ১৫ই মার্চ optical variable ink (ovi) ব্যবহার করে নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০২সালের ৫ইজুন “স্মৃতিসৌধ“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০৫সালের ২৮শে জুলাই পূর্বের ১০০টাকার “100″ শব্দটিকে সোনালীরঙে পরিবর্তন করা হয়ঃ

পাঁচশত টাকাঃ

১৯৭৬সালের ১৫ই ডিসেম্বর প্রথম ৫০০টাকার নোট ইস্যু হয়ঃ

পরবর্তীতে ডিজাইনে ব্যাপক পরিবর্তন এনে ১৯৯৮সালের ২রাজুলাই আরেকটি নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০০সালের ১০ই আগস্ট “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান” এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০২ সালের ১৭ইজুলাই “স্মৃতিসৌধ“এর ছবিসম্বলিত নোট ইস্যু হয়ঃ

২০০৪সালের ২৪ই অক্টোবর পূর্বের নোটের “৫০০” এর পরিবর্তে “পাঁচশত টাকা” শব্দে optical variable ink (ovi) ব্যবহার করে নোট ইস্যু হয়ঃ

একহাজার টাকাঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়মানের নোট। নোটটি ২০০৮সালের ২৭শে অক্টোবর ইস্যু হয়। এর সামনের অংশে শহীদমিনার এবং পেছনের অংশে কার্জনহলের ছবি রয়েছে। এতে মোট ১১টি নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে।






Shares