Main Menu

আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কসবায় বৈশাখী মেলায় লাখ লাখ টাকার জোয়ার আসর বন্ধ

+100%-

কসবা প্রতিনিধি : কসবা থানা সদরে বৈশাখী মেলার নামে কি হচ্ছে,কি করছে যেন দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। মহান স্বাধীনতার পর কসবা গরু বাজারে কাঠের মেলার নামে অসামাজিক কর্মকান্ড চলার পর তা প্রতিরোধ করে বন্ধ করেছিল আড়াইবাড়ি দরবার শরীফের পীর মরহুম গোলাম হাক্কানী সাহেব। আর সারা বাংলাদেশের ন্যায় বৈশাখী প্রথম দিনে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন শুভ সুন্দুরের আনন্দে বর্ষবরণ পালন করেছিলেন। কিন্ত কসবা জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় বৈশাখী মেলার নামে স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে এই সব কি হচ্ছে সচেতনমহলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিদিন কসবা ও আ্খাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অলি-গলিতে ৩০ থেকে ৪০টি প্রচারে মাইক বের হয়ে (দি সিপন আক্তার র‌্যাফেল ড্র) হাজার হাজার লটারীর টিকেট (জোয়া খেলার নামে) বিক্রি করে গ্রামের সহজ সরল মানুষের (নারী-পুরুষ) কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর রাতে পুরুষ, মহিলা,তরুণ,তরুণীদের জমায়েত করে ষ্টেজে খলনায়ক নামে ছোট ডিপজল আর নামে মাত্র পোশাক পড়িয়ে এক তরুণিকে দিয়ে অসামাজিক নাচানাচি সহ অঙ্গভঙ্গির পর লটারীর নামে একটি আকর্ষণ পুরস্কার দিয়ে বাকি গুলো নামে মাত্র পুরস্কার প্রদান করার বিষয়টি আইনি বাধা আছে বলে আইনবিধরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। মঞ্চে সর্বদায় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর রগু মিয়া, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা (প্রকাশ সহ সভাপতি) ইব্রাহিম, ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারি কর্মচারী শরীফুল ইসলাম প্রমুখ নেতাদের বাড়া বাড়ি আর নাচানাচি ছিল দেখার মত ও এলাকায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে সূত্রটি জানান। এই অসামাজিক কার্যকলাপ গুলো শিক্ষিত সমাজের মাঝে ধারণ ক্ষোভসহ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে সূত্রটি জানান। অপর দিকে স্কুল পড়–য়া ছাত্র/ছাত্রী,গৃহীণিরা স্ব স্ব অভিভাবককে লটারীর টাকার জন্য অতিষ্ঠ করে তুলেছে বলে একাধিক গ্রাম থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাননীয় আইনমন্ত্রীর এলাকায় কসবা উপজেলায় একজন নির্বাহী অফিসার, একজন সহকারী কমিশনার(ভ’মি),একজন এএসপি,একজন অফিসার ইনচার্জ (ওসি), একজন ওসি তদন্ত, অনেক এস আই,এএসআই,দুইজন ডিএসবি পুলিশ থেকেও মেলার নামে এই সব হচ্ছে কি শিক্ষিত সমাজে প্রশ্ন উঠেছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। অবশেষে মেলার ১০দিনের মাথায় মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি অবগত হয়ে মেলার নামে অসামাজিক কার্যকলাপসহ সকল অপতৎপরতা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিককে জানান। কসবার সচেতন নাগরিকরা বলেন;আগামীতে বৈশাখী মেলার নামে অসামাজিক এই ধরণের কার্যকলাপ হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।






Shares