Main Menu

চালু হল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট

+100%-

বিশেষ সংবাদদাতা::প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে শুরু হল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট। এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে সময় সকাল  ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার  বাসিন্দারা হাটে পণ্য কেনা-বেচা করতে পারবেন।
বৈরী আবহাওয়া উপপেক্ষা করে এ উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এম নাগারাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন, ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, সিপাহীজলা জেলার সভাধিপতি ফখরুদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী ডি.কে চাকমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বেগম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, এই হাটের মাধ্যমে দু’দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। পরে আলোচনা সভা শেষে দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর  বাংলাদেশ সফরের সময়ই তিনি এই হাটটি উদ্বোধন করেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরকে  জানান ২০১৪ সালের ২১ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তাঁরাপুর সীমান্তে ২০৩৯ নং পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দু’দেশের যৌথ মালিকানায় সীমান্ত হাটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের ৬৯.৬৬ শতাংশ ও ভারতের ৬৯.৬৬ শতাংশ ভূমিতে ভারত সরকারের দুই কোটি ৪৪ লাখ রুপি ব্যয়ে ৫০টি দোকানের নির্মান করা হয় । এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ২৫টি এবং ভারতের ২৫টি দোকান ।
হাটের আশ-পাশের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে হাটে নির্ধারিত ক্রেতারা পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন। পর্যায় ক্রমে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তবে হাটে যাওয়ার আগে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অবশ্যই সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে  ।এ ছাড়া পাঁচ কিলোমিটার এলাকার বাহিরে ক্রেতারা শুধু মাত্র একদিনে অনুমতি পত্র নিয়ে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
এই  সীমান্ত হাট চালু হওয়ায় সীমান্তবর্তী দুই দেশের বাসিন্দারা আনন্দে উদ্বেলিত।






Shares