ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবার বধূ এখন কুড়িগ্রামের রাজারহাটে…
ডেস্ক ২৪:: প্রেম মানে না কোন কিছু। তাই তো একমাত্র শিশুপুত্র ও স্বামীকে ফেলে রেখে প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বধূ এখন রাজারহাটে প্রেমিকের বাড়িতে। প্রায় ১ মাস ধরে নতুন করে ঘর বাঁধার আশায় পাড়ি জমিয়েছিল ওই বধূ। অবশেষে শনিবার রাতে রাজারহাট থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজারহাট উপজেলাধীন ছিনাই ইউপির সিংহীমারী এলাকায়। ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া পুত্র রাসেল মিয়া (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মীরতলা গ্রামের আঃ মান্নানের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী, এক সন্তানের জননী কোহিনুর আক্তার শিলা (২৮)-এর সঙ্গে প্রথমে পরিচয় হয় মোবাইলফোনে। এরপর চলে আসছিল প্রেম। এরই এক পর্যায়ে প্রেমিকা কোহিনুর স্বামী ও সন্তানকে ফেলে প্রেমের টানে গত ৫ই এপ্রিল নগদ দেড় লাখ টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে আসে প্রেমিকের বাড়িতে। পরে স্বামীর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এক পর্যায়ে কুতুব উদ্দিনের বড় ভাই বাদল মোল্লা বাদী হয়ে গত ২২শে এপ্রিল কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজারহাট থানা পুলিশ সিংহীমারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল, প্রেমিক রাসেল মিয়া ও কোহিনুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রেমিকা কোহিনুর এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দুজন দুজনকে প্রচণ্ড ভালবাসি। অর্থ-সম্পদ তার কাছে বড় বিষয় নয়। আমি রাসেলকে ভালবাসি, তারই ঘর করবো। এবিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আটককৃত প্রেমিক- প্রেমিকাকে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং কসবা থানায় বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কোহিনুর বেগমের স্বামী রাজধানীর শ্যামপুর থানায় কনস্টেবল পদে বর্তমানে কর্মরত।