Main Menu

শুটকী রফতানী বানিজ্য মাফিয়া চক্রের কবলে। ১০ টনের কাগজে ৯০টন যাচ্ছে

+100%-

মাফিয়া চক্রের কবলে পড়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরের শুটকী রফতানী বানিজ্য। ১০টনের কাগজে ৯০ টন মাল যাচ্ছে ভারতে। রফতানী অর্থ আসছে হুন্ডির মাধ্যমে। এ নিয়ে স্থলবন্দর কাষ্টমস অফিসে তুলপাড় চলছে।
স্থলবন্দর কর্তৃপ জানায়, জলি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি রফতানী কারক প্রতিষ্ঠান ১১৮ নম্বর বিল অব এন্ট্রিতে ১০ টন শুটকি রফতানীর কথা উল্লেখ্য করে গত শনিবার ৬ ট্রাকে ৭টন শুটকী ভারতে রফতানী করেছে। রফতানীর অপোয় পার্কিং জোনে থাকা শুটকি ভর্তি ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-২২০৩ ও বগুড়া মেট্রো-ট১১-০৩০২ নম্বরের ট্রাকে রয়েছে ৩টন শুটকী।
সরেজমিন খোজ নেয়ার সময় দেখাগেছে, পার্কিং জোনে দুই ট্রাকে শুটকী রয়েছে অন্তত ৩০টন। এ হিসাবে আগের ৬ ট্রাকে ভারতে শুটকী রফতানী হয়েছে ৬০টন।
এ বিষয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিছ আলী জানান, কাগজের সাথে শুটকীর ওজনে অমিল থাকায় দুই ট্রাক মাল বন্দর পার্কিংজোনে আটক রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, শুটকী রফতানীতে ভারতীয় একটি মাফিয়া চক্র কাজ করছে। ভারতে এক ট্রাক মালে ৬৪ হাজার টাকা রাজস্ব দিতে হয়। এই রাজস্ব ফাকি দিতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কাগজের বাইরে মালের সমস্ত টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এতে বাংলাদেশ সরকার বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যপারে জলি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী ও আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি মোবারক হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এই মালের কোন বিল অব এন্ট্রি দেয়া হয়নি। বন্দর পার্কিংজোনের দুই ট্রাকে মাত্র ১২টন শুটকী রয়েছে। শুটকীতে দু‘দেশের কোথ্ওা রাজস্ব নেই।






Shares