ভারত থেকে আখাউড়া দিয়ে দেশে ফিরলেন মানিসক ভারসাম্যহীন পাঁচ বাংলাদেশী
মানিসক ভারসাম্যহীন অবস্থায় বিভিন্ন সমেয় ভারেত আটক হওয়া তিনজন নারীসহ পাঁচজন বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। তারা ভারতে পাচার হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপেজলার সন্তোষ দেব, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপেজলার বিজয় চুন্নু, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপেজলার ময়না বেগম, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপেজলার রোজিনা বেগম এবং কুমিল্লার চান্দিনা উপেজলার কুলসুম বেগম।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগীতায় তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে তাদেরকে জরুরী সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সেলিং সেবা ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান ও আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার এসব তাদের হাতে তুলে দেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, এই পাঁচজন বাংলােদিশ মানিসক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিভন্ন সময়ে আটক হন। এরপর আদালতের নির্দেশে আগরতলার নরসিঙ্গর এলাকার মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সুস্থ হওয়ার পর তাদের নাগিরকত্ব যাচাই করা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগােযাগ করে তাদের দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সংগ্রহ করে আগরতলার সহকারী হাইকিমশন।
ভারত ফেরত বাংলাদেশীদের হস্তান্তরের সময় ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ খায়রুল আলম এবং পাচার হওয়াদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আগরতলা-আখাউড়া স্থলবন্দরে তাদেরেক ভারত থেকে গ্রহণ করার সময় ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, প্রথম সচিব আসাদুজ্জামান ও রেজাউল হক, আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বকর, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মসূচি প্রধান
শরিফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর তাদের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।