আখাউড়ায় শ্রমিকসংকটে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক
আখাউড়া প্রতিনিধি:: আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ধান পাকলে ও কৃষি শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছে না কৃষকরা। কষ্টার্জিত বোরো ফসল ঘরে তুলতে এখন জেলা জুড়ে চরম বিপাকে কৃষকরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার সব কয়েকটি এলাকায় কৃষকের সোনালি ধান পাকা শুরু হয়েছে। আবার কোনো কোনো এলাকায় কৃষকেরা ধান কাটাও শুরু করেছেন। তবে বৃষ্টি ও আকাশ মেঘাছন্ন দেখলে আতঙ্কিত হয়ে উঠেন কৃষকরা।
সম্প্রতি বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। তবে কৃষকদের দাবি হাওরে আগাম জাতের রোপণ করা ধান পাকলেও ধান কাটার শ্রমিক সংকট রয়েছে।
উপজেলা জুড়ে মাঠে মাঠে এখন সোনালি ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে ঘরে ঘরে চলছে ধান তোলার প্রস্তুতি। অনেক কৃষক পরিবার তাদের বাড়ির পাশে কিংবা মাঠে ধান শুকানোর জন্য জায়গা তৈরির কাজে ব্যস্ত। তারা বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার শ্রমিকের জন্য খবর পাঠালে ও বাইরের কোনো জেলা থেকে এবার কৃষি শ্রমিক না আসায় শ্রমিকের সংকট। ধানের ক্ষেতে প্রতিদিনের পরিবর্তন দেখে মলিন কৃষকের মুখে আবারো দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। কৃষকের একদিকে আকস্মিক বন্যা-শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, অন্যদিকে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুতি চলছে। ধান কাটার শ্রমিকের জন্য খবর পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় পরিচিত লোকদের কাছে। মেরামত করা হচ্ছে ধানের গোলা। কৃষকরা জানান, এখন জমির ধান কেটে ঘরে তোলার জন্য বড় সংকট হচ্ছে শ্রমিক সংকট। উপজেলার বাউতলা গ্রামের কৃষক শরিফ, মঈন উদ্দিন, কবির,জারু মিয়া জানান, ধান পাকলেও শ্রমিক সংকটের কারণে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি আমরা সকল কৃষক।
উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামের ওমান প্রবাসী মহিন উদ্দিন বলেন , আমি মাত্র পনের
দিন হল বিদেশ থেকে এসেছি, আমি অল্প কিছু জমি করেছি কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে নিজে নিজেই ধান কাটা শুরু করে দিয়েছি যদি শ্রমিকের উপেক্ষা থাকি তাহলে ঘরে জমির ধান না ও তুলতে পারি সেই চিন্তা করে নিজেই ধান কাটা শুরু করেছি। কৃষক শরিফ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর আমাদের এলাকায় দেশের ভিবিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিক আসত কিন্ত কিন্তু চলতি বছরে ধান কাটার শ্রমিক না আসায় এবার আমরা চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছি। এই দিকে কৃষি শ্রমিকের এবার মজুরি ও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। প্রতি শ্রমিক ৫৫০/৭০০ টাকা ছাড়া বর্তমানে কাজ করতে রাজি নয় শ্রমিকরা।