Main Menu

ভিন্ন প্রশ্ন বিলির ঘটনা তদন্তে আশুগঞ্জে তদন্ত কমিটি

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এইচএসসির ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরীক্ষায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন বিলি করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্তে নেমেছেন।

শনিবার দুপুর থেকে সন্ধা পর্যন্ত তদন্ত কমিটি আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সকলের সাথে কথা বলেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কামাল মোহাম্মদ রাশেদসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এসময় উপস্থিত ছিলেন। তবে এসময় সাংবাদিকদের তদন্ত কমিটির সাথে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এর আগে শুক্রবার সন্ধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কামাল মোহাম্মদ রাশেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাশাপাশি কুমিল্লা বোর্ডের পক্ষ থেকে এই তদন্ত কমিটি গঠন হবে বলে জানান কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কামাল মোহাম্মদ রাশেদ ও আশুগঞ্জ সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল বাকির সাথে কথা বলার জন্য কল করলেও কলটি রিসিভ হয়নি।

প্রসংগত, গত বৃহস্পতিবার সকালে আশুগঞ্জ সারকারখানা কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রসায়ন, ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসূমী বাইন হীরার ট্যাগ অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার রোকসানা আক্তার ট্যাগ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সকালে থানা থেকে তিনি ও তার সাথে কলেজের শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান গিয়ে থানা থেকে প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করেন। পরে পরীক্ষা শুরু হলে কেন্দ্রে ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন বিতরণ করে ২’শ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো পরীক্ষার হলে হৈচৈ পড়ে পড়ে যায়। পরে কক্ষ পরিদর্শকরা সকল প্রশ্ন তুলে নেন। প্রশ্ন পরিবর্তন করে ইসলামের ইতিহাস প্রথমপত্র প্রশ্ন বিতরণ করে আধাঘন্টা দেরিতে আবারো পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসময় ২৮ তারিখের ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার চারটি প্রশ্ন খোয়া যায়। এসময় বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন।






Shares