Main Menu

বিজয়নগরে বোনা আমনের ফলন,সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ

+100%-


আজহারুল ইসলাম খান শাহ আলম : নিচু জলাভূমি। জলজ উদ্ভিদ ছাড়া বর্ষা মৌসুমে এসব জমিতে কিছুই জন্মাত না। কিন্তু এসব নিচু জলাভূমি এখন আর পতিত নয়। দিগন্ত জুড়ে সবুজ ফসলের মাঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এখন চোখে পড়ে মাইলের পর মাইল সারি সারি সবুজ বোনা আমনের ধান তে। উপজেলার সাতবর্গ, আলীনগর, শ্রীনগর, ইসলামপুর এলাকায় সবুজ ধান তে আবাদ করে নিচু জলাভুমির চাষিরা ঘরে ফসল তোলার স্বপ্ন দেখছে। ভাটি এলাকার কৃষকরা বহুকাল পূর্ব থেকেই এসব জলা ভূমিতে দেশি জাতের বোনা আমনের চাষাবাদ করছেন। এ জাতের ধানের নাম হচ্ছে আছমিতা,গোডা। বোরো ধান কাটার পর বৈশাখ জৈষ্ঠ্যমাসে জমিতে সামান্য চাষাবাদ দিয়ে এ ধানের বীজ বোনা হয়। প্রতি একরে  বীজের প্রয়োজন হয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বর্ষার পানি বাড়ার সাথে ধান গাছগুলো বাড়তে থাকে। আলীনগর গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন এ ধান উৎপাদনে কৃষকের একর প্রতি খরচ হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। কীট নাশক ও সারের তেমন প্রয়োজন নেই বললেই চলে। একটি ধান গাছ ৮-১০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। কার্তিক মাসে ভাটি এলাকায় ধান কাটার ধুম পড়ে। প্রতি একরে ধানের ফলন হয় ৩৫-৪০ মণ। বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ভাটি এলাকায় নিম্ন ভূমিতে কৃষকরা বহু দিন ধরে এ জাতের ধান উৎপাদন করছে। এবছর তুলনামূলকভাবে বর্ষার পানি কম হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভাল হয়নি। তিনি জানান, এ ধান কাটার পর জমিতে কোনো আগাছা থাকে না। মাটি ঠান্ডা ও উর্বর থাকে তাই পরবর্তী ফসল ভাল হয়।






Shares