Main Menu

১৬ মার্চ নতুন আঙ্গিকে চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুকুন্দপুর স্টেশন

+100%-


দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা ১৪০টি রেলস্টেশন খুলতে যাচ্ছে এবার। প্রথম ধাপে শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট সেকশনের সাতগাঁও, লংলা ও বরমচাল স্টেশনসহ ৬০টি বন্ধ স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৫৭ জন সহকারী স্টেশন মাস্টারের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৪০ জনকে বন্ধ স্টেশনগুলোতে পদায়ন করে এগুলো চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নরসিংদীর ঘোড়াশাল স্টেশন থেকে একযোগে স্টেশনগুলো চালু করবেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

রেলভবন সূত্র জানায়, সারাদেশের ৪৬০টি রেলস্টেশনের মধ্যে ১৮৮টি স্টেশন দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। যার মধ্যে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। রেলওয়ের লালমনিরহাট ও পাকশী বিভাগে শতাধিক স্টেশন দীর্ঘ ১০ বছর থেকে বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৬০টি স্টেশন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ ৫-৭ বছর ধরে। এছাড়া আংশিক ও শিফটিং করে বন্ধ রয়েছে ১০-২০টি স্টেশন।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান জানান, ১৬ মার্চ থেকে ঢাকা বিভাগের ২১টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২টি, পাকশী ২৩টি ও লালমনিরহাটের ৪টি স্টেশন একযোগে চালু হবে। রেলওয়ের ক্যাটাগরি অনুয়ায়ী সবগুলো স্টেশনই ‘বি’ শ্রেণির।

তিনি জানান, এসব বন্ধ স্টেশন চালু হলে পূর্ব ও পশ্চিমের সব রেলের ‘রানিং টাইম’ কমে আসবে। ট্রেনগুলো দ্রুত ক্রসিং নেওয়ার সুবিধা পাবে।

রেল ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে যে ২১টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো টঙ্গী-ভৈরব সেকশনের ঘোড়াশাল, আমীরগঞ্জ, শ্রীনিধি। টঙ্গী-ময়মনসিংহ সেকশনের ভাওয়াল গাজীপুর, সাতখামাইর, ধলা, উমেদনগর।

ময়মনসিংহ-জামালপুর সেকশনের পিয়ারপুর। জামালপুর-ময়মনসিংহ সেকশনের কেন্দুয়াবাজার, ভুয়াপুর। ময়মনসিংহ-ভৈরব বাজার সেকশনের মধ্যে বিসকা, সোহাগী, নান্দাইল রোড, কালিকাপ্রসাদ। শ্যামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ সেকশনের ঠাকুরকোনা, বারহাট্টা। আখাউড়া-শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনের মধ্যে শাহাজীবাজার, মুকুন্দপুর। শায়েস্তাগঞ্জ-সিলেট সেকশনের মধ্যে সাতগাঁও, লংলা ও বরমচাল স্টেশন।

আর চট্টগ্রামের বিভাগের যে ১২টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো, চট্রগ্রাম-লাকসাম সেকশনের মুহুরীগঞ্জ, ফাজিলপুর, শর্শদী, নাওটী। লাকসাম-আখাউড়া সেকশনের মধ্যে ময়নামতি। লাকসাম নোয়াখালী সেকশনের মধ্যে দৌলতগঞ্জ, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বজরা। লাকসাম-চাঁদপুর সেকশনের মধ্যে শাহাতলী। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সেকশনের মধ্যে সরকারহাট ও ঝউতলা।

পাকশী বিভাগের যে ২৩টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো, খুলনা-দশনা সেকশনের ফুলতলা, রূপদিয়া, মেহেরুল্লানগর, সফদারপুর ও আনসারবাড়ীয়া। দশনা-ইশ্বরদী সেকশনের মধ্যে মিরপুর ও পাকশী। ইশ্বরদী-সান্তাহার সেকশনের মধ্যে আজিমনগর, মাধনগর ও রানীনগর। সান্তাহার-পাবতীপুর সেকশনের মধ্যে হিলি ও ভবানীপুর। পাবতীপুর-চিলাহাটি সেকশনের মধ্যে ডোমার রেলস্টেশন। আব্দুলপুর-চাপাই সেকশনে কাঁকনহাট।

আমনুরা-রহনপুর সেকশনে নাচোল। যশোর-বেনাপাল সেকশনের মধ্যে বেনাপোল। পোড়াদহ-গোয়ালন্দঘাট সেকশনের মধ্যে কুমারখালী, খোকসা, পাংশা ও পাঁচুরিয়া জংশন।

পাচুরিয়া-ফরিদপুর সেকশনে মধ্যে আমিরাবাদ ও ফরিদপুর। কালুখালি-ভাটিয়াপাড়া সেকশনের মধ্যে মধুখালী জংশন।

রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগের যে ৪টি স্টেশন চালু হচ্ছে সেগুলো হলো সান্তাহার-বোনারপাড়া সেকশনের মধ্যে আলতাফনগর, ভেলুরপাড়া ও মহিমাগঞ্জ।

লালমনিরহাট-বুড়িমারি সেকশনের মধ্যে আদিতমারি অন্নদানগর এই ৪টি বন্ধ স্টেশন চালু হবে আগামী ১৬ মার্চ থেকে।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, পর্যায়ক্রমে বন্ধ হওয়া ১৪০টি বন্ধ স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। ১৬ মার্চ সহকারী স্টেশন মাস্টারের পদায়নের মাধ্যমে ৬০টি চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক-ট্রান্সপোটেশন) মো. ময়েনুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিভাগের ঘোড়াশাল স্টেশনে এদিন সকাল ১১টায় ৬০টি বন্ধ স্টেশন চালু কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন রেলমন্ত্রী। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাকি ৫৯টি স্টেশন একযোগে উদ্বোধন হবে।






Shares