Main Menu

বিজয়নগরে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অফিসারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসছে

+100%-

বিজয়নগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মনসুর আহমেদ। তিনি একজন কর্মচঞ্চল, পরিশ্রমী, ন্যায়-নিষ্ঠাবান এবং চৌকস অফিসার। তিনি এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। তার সততা ও নিষ্ঠার দরুণ প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝে বেড়েছে কাজের স্পৃহা ও দায়িত্বশীলতা। তিনি অফিসে নিয়মিত উপস্তিত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন দূর্গম এলাকার বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনসহ প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নতি করণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মনসুর আহমেদ তাঁর মেধা, মননশীলতা, কর্মদক্ষতা ও সততার গুণে অতি অল্প সময়েই প্রাথমিক শিক্ষায় অভূত সাড়া জাগিয়েছেন। তিনি সর্বমহলে একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন অফিসার হিসেবে সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

উনার সততায় শিক্ষকদের হাতে গনা কয়জন সুবিধা করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি অনলাইনে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা রটনার পর থেকেই উপজেলার শিক্ষক সহ সামাজিক ও রাজনৈতিক লোকজন যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তাঁর প্রশংসায় বিভিন্ন মহলে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান এড, তানভীর ভুইয়া একটি স্টেটাসে শিক্ষা অফিসারের সততা ও দায়িত্ব বোধ নিয়ে অনেক কিছু লিখেছেন এবং আরেকটিতে সৎ এবং দক্ষ অফিসারদেরকে অহেতুক বিতর্কিত না করতে বিজয়নগরবাসীকে অনুরোধ করেছেন।

সহদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন রমজান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে লিখেন মনসুর স্যার উনি সৎ, নীতিবান, কর্মঠ, শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব একজন চৌকস অফিসার। সততা, নীতি ও আর্দশের ক্ষেত্রে উনি আপোষহীন। ব্যক্তিগতভাবে উনার সাথে আমার সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হলেও উনার দায়িত্বশীলতার জন্য এবং শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব আচরণের জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালবাসা অফুরান। হরষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সজিব উল্লাহ খান ও সাতগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গাফ্ফার এবং মনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিরুল ইসলাম সজিব, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিব্বির আহমেদ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষকগণ তাদের ব্যক্তিগত আইডিতে প্রশংসা করে লিখেন, জনাব মনসুর আহমেদ, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার। তিনি বিজয়নগর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিজয়নগরের প্রত্যেক শিক্ষক খুব ভালোভাবেই জানেন যে উনি একাধারে সৎ, নীতিবান, কর্মঠ, শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব একজন চৌকস অফিসার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে এমন মনসুর আহমেদদের খুবই প্রয়োজন এখন। উনারা হাতে আলোকবর্তিকা নিয়ে আসেন সমাজ, জাতি ও দেশের অগ্রগতির জন্য। আমরা এমন একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পেয়ে গর্বিত।

এব্যাপারে মনছুর আহমেদ বলেন, অন্যায় এবং কাজের ক্ষেত্রে আমি আপোষ করতে রাজি না। উপজেলার কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষকতা ছেড়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে উপজেলা সহ বিভিন্ন স্থানে গ্রুপিং করে সংগঠন করে এবং ম্যানেজিং কমিটিকে নিয়ে সরকারী বরাদ্ধের টাকা লুটপাট করে খায়, তাদেরকে স্কুল পরিদর্শনে গেলে পাওয়া যায়না। আমি স্কুলে গিয়ে বা তাদের এইসব কাজে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বিভিন্ন মহলে ছেড়ে দেয়।শিক্ষকরা ক্লাশ ফাঁকি দেয় আমি স্কুলে গেলে অনেককে স্কুলে পাইনা। আমি সরকারি কোষাগার থেকে বেতন নেই তাই সরকারি টাকা কাউকে আত্মসাৎ করতে দিতে পারিনা এবং আমি অনেক কমিটির সভাপতি হওয়ায় তাদেরকে টাকা ছাড় না দিলে তারা আমাকে বদলী করার হুমকি ধমক দেয়। আমি এতে বিচলিত না অফিস আদেশে আমি সবখানে যেতে প্রস্তুত। আমি অন্যায়ের কাছে আপোষ করিনা, তাই অনেকে আমাকে ভালবাসে এবং হাতে গনা কয়েকজন দুষ্ট লোকের কাজ করবনা।






Shares