আশুগঞ্জে দুই মাসে এসএসসি পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি ফেরত পায়নি ১০৫ শিক্ষার্থী
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে খোলাপাড়া শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়’র দুই মাসেও এসএসসি পরীক্ষার অতিরিক্ত ফি ফেরত পায়নি ১০৫ শিক্ষার্থী। অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি ফেব্রুয়রি মাসের শুরুতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা’র পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত পত্র ৩ দিনে মধ্যে দেওয়ার পরও আজ ও টাকা ফেরত পায়নি এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
জানা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়া শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার চলতি বছরে ১০৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করছে। বোর্ড নির্ধারিত ফি উপক্ষো করে বিদ্যালয়টি প্রতিজন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ প্রতি অতিরিক্ত ফি হিসাবে ৩/৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করে। বিদ্যালয়টি এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করলে আদায়কৃত অর্থ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সুয়োমোটো রুল নং-২৫/২০১৪- নির্দেশনায় অনুয়ায়ী ২০ জানুয়ারি মধ্যে ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়ে ছিল। তার পরও টাকা ফেরত পায়নি শাহ ফরাছত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত টাকা আগামী ৩ দিনের মধ্যে ফেরত প্রদান করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা’র পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক গত ১০ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত পত্রে চিঠি প্রদান করা হলেও টাকা ফেরত পায়নি পরীক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে একাধিকবার প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম ভুইয়া সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করলে ফেরত দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন শুধু আশ্বাস দিয়ে থাকেন। এসএসসি পরীক্ষার্থী মোবাশ্বারা আক্তার জানান অনেক কষ্ট করে টাকা জমা দিয়েছি। আজও ফেরত পায়নি। পরীক্ষার্থী তানজিনা আক্তার জানান আমার বাবা নেই মা কষ্ট করে টাকা গুলো স্কুলে জমা দিয়েছি। অভিভাবক আমেনা বেগম জানান আমার ছেলের বাবা নেই। আমার স্বর্ণের জিনিস বন্ধক দিয়ে এবার পরীক্ষার ফি দিয়েছি। শুনেছি টাকা ফেরত দিবে। ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য মোজাম্মেল হক তপন জানান প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমকে একাধিকার বলা হয়েছে অতিরিক্ত ফি ফেরত দিতে । তিনি তা আজও পরীক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়নি। আরেক সদস্য খলিলুর রহমান বলেন প্রধান শিক্ষক কারও কথা শুনে না। তিনি তার মত চলেন। তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান। প্রধান শিক্ষক খুরশেদ আলম ভুইয়া সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তিনি মোবাইল রিসিভ করেনি। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ইন্দু ভুষণ ভৌমিক জানান যদি বিদ্যালয়টি অতিরিক্ত অর্থ ফেরত না দিয়ে থাকে। তাহলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবক এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
-সঞ্জয়