Main Menu

নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত আহত ১০

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি-জমার বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা। এ সময় সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. কুদ্দুস মিয়া (৩০) খাগালিয়া গ্রামের মো. সৈয়দ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর ধরে মো. মহিবুল্লাহ ও তয়ৈব আলীর মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। জমির বিরোধ নিস্পত্তি করতে তয়ৈব আলী আদালতে মামলা করেন। মামলার রায় তয়ৈব আলীর পক্ষে আসলে মহিবুল্লার একটি আধ পাকা টিন সেড ঘর অপসারণ করে বিজ্ঞ আদালত তাদের বুঝিয়ে দেয়। পরে তয়ৈব আলী এ জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে মহিবুল্লার লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তয়ৈব আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে দ্রুতবিচার আইনে মহিবুল্লাহকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হককে নিদের্শ দেয়।

তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ৩০ ডিসেম্বর জেলহাজাতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কেলু মিয়া(৪০) রোহিলা (৬০) ও আয়েশা খাতুন (২২)। এ ঘটনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরো উস্কে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় তৈয়ব আলীর পক্ষের মো. কুদ্দুস মিয়া নামে একজনকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে গেলে মহিবুল্লার পক্ষের লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তাই মহিবুল্লার পক্ষের আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, মহিবুল্লা ও তবৈ আলীর মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। ঘটনার দিন তয়ৈব আলীর পক্ষের লোক কুদ্দুস মারা যায়। তবে কি কারণে সে মারা গেছে লাশ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।






Shares