নাসিরনগরে জুয়েল হত্যাকান্ডের নেপথ্যে পরকীয়া
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর সংবা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বক্তব্যে জানা যায়,নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা ইউনিয়নের চাপড়তলা গ্রামের আলতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়া। হারুন মিয়া চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিভিন্ন কসমেটিকস ফেরি করে বিক্রি করত। বাড়িতে হারুনের স্ত্রী একাই থাকতেন। সেই সুযোগে ডেকোরেটস কর্মী জুয়েলের সাথে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় হারুনের স্ত্রী আসমা আক্তার ও নিহত জুয়েলের। সেই থেকে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দুজনের সম্পর্ক রুপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। বিষয়টি হারুন জানতে পারলে স্ত্রীকে মারধরসহ জুয়েলকে সতর্ক করে দেয়। মৌখিক সর্তকতার পর জুয়েল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এর পরই জুয়েলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন হারুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ মার্চ রাতে আসমার মাধ্যমে ফোন করে বাড়িতে এনে নৃশংসভাবে হত্যা করে জুয়েলকে। মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ একটি ডোবায় ফেলে দেয়। পরে ১৯ মার্চ জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করে নাসিরনগর থানা পুলিশ। এর পরই পুলিশ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হারুন ও তার স্ত্রী আসমাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ থাকে যে, গত ১৯ মার্চ সকাল ৮টার সময় চাপড়তলা গ্রামের খন্দকার বাড়ির পাশে একটি ডোবা থেকে জুয়েলের লাশ উদ্ধার করে নাসিরনগর থানা পুলিশ। নিহত জুয়েল চাপড়তলা গ্রামের আনব আলীল ছেলে।