Main Menu

নাসিরনগরে ইউপি সদস্য,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নগদ টাকা ও গম আত্মসাতের অভিযোগ

+100%-

নাসিরনগর (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ইয়াছিন মিয়া,নাসির নগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলামের বিরোদ্ধে টি আর প্রকল্পের ১৮ মেঃটন সরকারী গম ও মৎস্য অধিদপ্তরের ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গত ৭ জুলাই চান্দের পাড়া গ্রামের ৬৪ জন লোক মিলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে। পুর্বভাগ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের চান্দেরপাড়া গ্রামের মোঃ ইয়াছিন মিয়া মেম্বার গ্রামের কাউনজুরি হইতে ভইছা ভাংগা গোপাটের মাথা পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা বলে বিভিন্ন প্রকল্প সৃষ্টি করে নাম সর্বস্ব লোক দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলামের সহযোগীতায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ১৮ মেঃ টন গম উত্তোলন করে সিংহভাগ আত্মসাৎ করে ফেলে।

অপর দিকে কাউনজুরী পুকুরের সংস্কার ও মৎস্য চাষের কথা বলে উপজেলা মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ সরকারি টাকা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ছায়েদুর রহমানের সহযোগীতায় আত্মসাৎ করে ফেলে। তাছাড়াও জানা গেছে উক্ত মেম্বার ইয়াছিন মিয়া তার পিতার ৩০/৩৫ বিঘা জমি জমা থাকা পরেও অসহায় দরিদ্র মহিলাকে বয়স্ক ভাতা না দিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে তার নিজ পিতা মো: আবু তাহেরকে বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম দিয়ে টাকা উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন তা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুপারিশক্রমে তার মনোনীত কমিটির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। কাজ কতটুকু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৮০% কাজ হয়েছে। ২০% কাজ বাকী আছে। পানি উঠার কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি চলে গেলে বাকী কাজ করে দেবে।

সাড়ে চার লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা  মোঃ ছায়েদুল ইসলাম জানান টাকা গুলো মাননীয় মন্ত্রীর সুপারিশক্রমে দেওয়া হয়েছে। শতভাগ কাজ হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন গ্রামে দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ অপর পক্ষের নামে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগটি খুব দ্রুত সরজমিন তদন্ত করে কেউ দোষী সাব্যস্থ হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইয়াছিন মেম্বারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে  তিনি এর  কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।






Shares