কাজের মেয়ে নিখোজ :: ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানালে জামাই-শ্বশুড়সহ চার জনের নামে মামলা
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাসায় কাজের কথা বলে গ্রাম থেকে ঢাকা নেওয়ার পর ১৩ বৎসর বয়সের কাজের মেয়ে নিখোজের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৪ জনের মামলা হয়েছে। ভিকটিমের পিতা আলী আহাম্মদ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানালের মামলা নং- ২৪৬/১৫ রুজু করে। মামলার আসামীরা হলেন উপজেলার চাপরতলা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মস্তব আলী ভূইয়ার ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সফিক মিয়া (৬০) একই গ্রামের চৌকিদার মৃত ইছব আলী ভূইয়ার ছেলে মর্তুজ আলী, মোবারক ভূইয়ার ছেলে মুনছুর ভূইয়া, ঢাকা খিলগাঁওয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মোঃ তানিল ভূইয়া ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া (৩৫) ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ রোজ শুক্রবার বেলা সকাল ৮ ঘটিকায় জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে। মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা ঘটনার তারিখ ও সময়ে পরস্পর যোগসাজসে চাপরতলা গ্রামের নিরিহ আলী আহাম্মদের ১৩ বৎসরের নাবালিকা মেয়েকে মাসিক ২ হাজার টাকা দেওয়া শর্তে ঢাকা ৩নং আসামী রাসেল মিয়ার বাসায় নিয়ে যায়। তার পর ২ মাসের বেতন চৌকিদার মর্তুজ আলীর মাধ্যমে বাদীনির নিকট পাঠায়। ৩/৪নং মাস পরে বাদী তার মেয়েকে বাসায় দেখতে গেলে ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। মেয়েকে ফেরৎ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তারা খোজাখুজির করে বের করে দিবে বলে ঘুরাইতে থাকে। প্রায় ৭ দিন আগে মেয়ের ব্যাপারে কিছু বললে বাদীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাবে বলে হুমকি দেয় সকল আসামীরা।নিরুপায় হয়ে বাদী থানার আশ্রয় নিলে কর্তপক্ষ আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ দেন। অবশেষে ভিকটিমের পিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামাই শ্বশুড় সহ ৪ জনের নামে মামলা রুজু করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৮ ধারা মতে তদন্তক্রমে ৬০ দিনের ভিতর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে মামলার দুই আসামী সফিক মিয়া ও রাসেল মিয়ার মোবাইল ফোনের বার বার যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।