নাসিরনগরে আন্তঃজেলা চক্রের দুই ডাকাত গ্রেপ্তার
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসির নগর,ব্রাক্ষণবাড়িয়াঃ জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রেরসদস্য গ্রামের মৃত আরিছ মিয়ার ছেলে মোঃ আহাদ ডাকাড়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।থানা সুত্রে জানা গেছে আহাদের নামে থানা ওঅদালতে প্রায় এগারটি মামলা রয়েছে ।জানা ঘেছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে হবিগঞ্জ শহর থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। অপর দিকে কুন্ডা-ভলাকুট সড়কের বিটুই এলাকায় (শনিবার) রাতে গণপিটুনিতে ৩ ডাকাত আহত হয়েছে। ৫ সদস্যের ডাকাতদলের ৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও জনতা একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। জানা গেছে আটক ডাকাত উপজেলার ভলাকুট গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে ওমরাও খান (২১)। সে বর্তমানে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম বাকীবিল্লাহ জুয়েল জানান, ওই রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরেই ডাকাতি হয়ে আসছে। ডাকাতের আতঙ্কে উল্লেখিত রাস্তায় সন্ধার পর চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। কাঁচা রাস্তা এবং দুই পাশে হাওর থাকায় ডাকাতরা সহজেই ডাকাতি করে পালিয়ে যেতো। তিনি জানান, সংক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাত পৌণে ৮টার দিকে ডাকাতদের ধাওয়া করে এবং রাস্তার প¦ার্শবর্তী হাওড় থেকে কুখ্যাত ডাকাত ওমরাও খানকে ধরতে সক্ষম হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, গত বছরের ১৪ জুলাই দিবাগত রাতে সাংবাদিক সোহরাব শান্তর ছোট ভাই বদিউল আলম সাকিবের লাশবহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় এই ডাকাতদল জড়িত বলে অনেকেই সন্দেহ করছেন। রাতে ডাকাতদের গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনায় প্রত্যক্ষ্যদর্শী কুন্ডা ইউনিয়ন সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি ও কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাতিজা বকুল হোসেন বলেন, গণপিটুনির শিকার ডাকাত সদস্য ওমরাও খান মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারসঙ্গে মদও ছিল। নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল কাদির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত ওমরাও খান স্বীকার করেছে, তারা ডাকাতি করতে কুন্ডা-ভলাকুট সড়কের বিটুই এলাকায় এসেছিল। তার সঙ্গে থাকা অপর ডাকাতদের মধ্যে একজন (তার চাচা) কালা মিয়া খানের ছেলে এরশাদ মিয়া খান (২৫) বলে জানিয়েছে সে। আহত হওয়ায় ডাকাত ওমরাও খানকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহত ডাকাত ওমরাও খানের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় মামলা রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় মামলা করে তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এই রাস্তায় ডাকাতি বন্ধে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিক দাবী করে তিনি বলেন, সাংবাদিক সোহরাব শান্ত’র ভাইয়ের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা আছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিলেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।