নাসিরনগরে খুনের তিন দিন পর থানায় মামলা, গ্রেপ্তার-১ :: ভাংচুর ক্ষতির পরিমান প্রায় আড়াই কোটি টাকা
মোঃ আব্দুল হান্নান নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ- পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সংঘর্ষে এক যুবক খুনের তিন দিন পর থানায় মামলা দায়ের ও এক আসামী গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপর দিকে হামলা কারীরা প্রতিপক্ষের বাড়ী ঘর দোকান পাঠ ভাংচুর ও লোটপাট করে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ মার্চ রোজ শনিবার বেলা ১১ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা সালাম বাজারের রাস্তায় সুরঞ্জন দেবনাথের দোকানের পাশে। ওই ঘটনায় নিহতের চাচা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ২২ জন সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে ২১ মার্চ নাসিরনগর থানার খুনের মামলা নং- ৩২ রুজু করেছে। মামলার পর জনগণ ৩নং আসামী আদম আলীর ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম ২৬ কে আটক করে পুলিশের সুপর্দ করেছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ আব্দুল করিম (৩৫)। থানা পুলিশ, মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে মাধবপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে একটি সেচ প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পটির মালিক খান্দুরা গ্রামের ফয়েজ ও মামলার বাদী হামিদ মিয়া। প্রকল্পটি নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। উভয় পক্ষের লোকজন জেল ও কেটেছে। মামলা মোকদ্দমার কারণে এ বছর প্রকল্পটি বন্ধ রয়েছে। প্রকল্পের ম্যানেজার মামলার ২নং আসামী আলী আহাদ রামেশ্বর গ্রামের মুইধরের কাছে টাকা পাওনা আছে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে উল্লেখিত স্থানে পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। মামলা ৪নং আসামী জামাল আহম্মেদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংশ ও হয় বলে জানা গেছে। পরে মামলার বাদী এসে আলী আহাদকে হুমকি দিলে এক পর্যায়ে দুইজনই উত্তেজিত হয়ে গেলে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ বাদে। সংঘর্ষ চলাকানীন সময়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে খান্দুরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (৩৫) মারাত্মক আহত হয়। মমূর্ষ আব্দুল করিমকে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আব্দুল করিমের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় বিকাল ৫টা পথিমধ্যে আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। মামলার ৪নং আসামী মৃত নোয়াজ আলীর ছেলে মোঃ জামাল আহম্মেদ (৩২) সহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় আব্দুল করিমের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় চড়িয়ে পড়লে, সংঘর্ষকারীরা গ্রামের আলী আহাদ, খাদেম আলী, আলী আহাম্মদ, বরজু মিয়া, আরজু মিয়া, জামাল আহম্মেদের তিনটি মুদির দোকান সহ বেশ কয়েকটি বাড়ী ঘর ভাংচুর ও দোকান পাঠ লোটপাট করে নিয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় আড়াই কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাসিরনগর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ফজলুল হক মামলা ও আসামী গ্রেপ্তারে সত্যতা স্বীকার করেছে।