মোঃ আব্দুল হান্নান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির ইফতার মাহফিলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক। অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা। গ্রেফতার ৫। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাতলপার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা ও ইউনিয়ন বি এন পির যুগ্ম সম্পাদক তাবারক ভূইয়ার মধ্যে সংঘর্ষেপুলিশ সহ উভয় পরে অন্ত
ত ৬০ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিরনগরের প্রত্যন্ত এলাকা চাতলপাড় ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ইউনিয়ন বি এন পির যুগ্ম সম্পাদক তাবারক উল্লাহ’র সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দু ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে চাতলপার পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোঃ আবুল হাসেম ও পুলিশ কনস্টেবল মোঃ কামরুল ইসলাম আহত হয়। আহতদের অষ্টগ্রাম হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন কক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মুমুর্ষু অবস্থায় জেলা সদরে ভর্তি করা হয়েছে খোকন (১৮),মফিজ(২৫),কুদ্দুস(৪৫),তাজুল ইসলাম(৪০), সাইজুদ্দিন(৪০), খন্দকার আলী আজম (৩৫)ও সাইফুল (১৮)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে । সংঘর্ষের সময় চাতলপাড় বাজারের ওয়ালটনের শো-রুম থেকে ৩ কোটি টাকার মালামাললুট সহ অন্তত ৩০টি দোকান ভাংচুর করে । চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল হাশেম জানান, গতবৃহস্পতিবার আর এ কে গ্রুপের এমডি কেন্দ্রিয় বিএনপির প্রবাসী কল্যান সম্পাদক নাসিরনগর বিএনপির সভাপতি আলহাজ সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের নিজস্ব অর্থায়নে ইউনিয়ন বিএনপি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ইফতার মাহফিলে ছাত্রদল সভাপতি সোহেল রানা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা তাবারক উল্লাহকে জানানো হয়। তাদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা মারমুখী হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে তারা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে, ১লা রমজান ১১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে ইফতার কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। শুক্রবার বাদ জুমা চাতলপার ইউনিয়ন বিএনপিতে যোগদান অনুষ্টানের কথা থাকলেও সংঘর্ষের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে নাসিরনগর থানার ওসি মোঃ আব্দুল কাদের, ওসি তদন্ত মোঃ ইয়াছিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সারা রাত অবস্থান করে ভোরে থানায় ফিরে আসে। এব্যাপারে নাসিরনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ওসি মোঃ আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।ওই ঘটনায় এস আই মোঃ আবুল হাসেম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আড়াইশ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ জাকির হোসেন বাবুল ২৮, মোঃ সাইফুল ইসলাম ২৫,রায়হান ২০,সায়হান ২০,ও সুমন মিয়া ১৯ কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে গ্রেরন করেছে। অপরদিকে লুট হওয়া মালমালের মাঝে ৩৭ টি ফ্রিজ, ৫ টি টিভি উদ্বার হয়েছে বলে শো রোমের মালিক মোঃ আশরাফ ভূইয়া জানিয়েছে |