ফলোআপ, নাসিরনগরে দুই বকুলের ঝগড়ায় যুবক খুন,নিরপরাধী ব্যক্তি খুনের মামলার আসামী
প্রতিনিধিঃ দুই বকুলের ঝগড়া ও চেলির আঘাতে এক যুবক খুন হওয়ার ঘটনায় অনেক নিরপরাধী ব্যক্তি খুনের মামলার আসামী হয়ে ঘুরছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জুন রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসার পাশে থানা থেকে অল্প দুরে। ঘটনার বিবরণের জানা যায় বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের মোঃ শহুর মিয়ার পুত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা অনার্স পড়ুয়া ছাত্র ও বুড়িশ্বর ইউনিয়ন ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বকুল মিয়া(২১), আনুমানিক ১ মাস পূর্বে জি এন জি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে ধনকুড়া গ্রামের নিকট গেলে ধনকুড়া গ্রামের রহিছ মিয়ার পুত্র বকুল আহমদ তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে আশুরাইল গ্রামের শহুর মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া, আইয়ুব আলীর ছেলে আপিল মিয়া ও তাউজ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া। ধনকুড়া গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে বকুল আহমেদ ও তার ভাই নিহত ইসহাক মিয়াকে পেয়ে দুই পরে মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি, পরে একে অপরের মাথায় চেলি দিয়ে আঘাত করে এবং ৫ জনই আহত হয়। পরে নাসিরনগর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা করানো হয়। বিকাল ৫ ঘটিকার সময় দৈনিক দেশের পত্রের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিধি হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় মোঃ চিনু মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ দায়িত্ব পালন শেষে হাসপাতাল কোয়াটারে ফেরার পথে ধনকুড়া গ্রামের একদল উশৃংখল যুবক তাকে হাসাপাতাল কোয়াটারের সামনে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। যুবকদের পিটুনিতে সাংবাদিক শাকিলের মাথা পেটে ও একটি হাত ভেঙ্গে মারাত্মক আহত হয়। অপর দিকে আহত ধনকুড়া গ্রামের রহিছ মিয়ার পুত্র মোঃ ইসহাক মিয়া(৩০)এর অবস্থার অবনতি হলে রাত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ইসহাকের অবস্থার আরো অবনতি হলে ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে বিশ্বরোর্ড নামক স্থানে ইসহাক মারা যান। ওই ঘটনার সাথে যারা প্রকৃত জড়িত তাদের অনেককেই আসামী না করে অনেক নিরপরাধী ব্যক্তিবর্গকে আসামী করে ১৯ জুন নিহতের ভাই বকুল আহমেদ বাদী হয়ে নাসিরনগর থানা ৩৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। মামলার পরে নিরপরাধী আসামীসহ গ্রামবাসী পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়ে পড়ছে। |