Main Menu

নাসির নগর সোনালী ব্যাংকে কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

+100%-


নাসির নগর প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলা সোনালী ব্যাংকে কৃষি ঋণ বিতরনে, ব্যপক অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যের নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোনরূপ কাগজ পত্র ছাড়াই শুধু ভোটার আইডি কার্ড, এক কপি ছবি, ও একটি ভূয়া মাঠ পর্চা ও জাতীয়সনদ দ্বারা একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, ছেলেসহ একাধিক ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিনিময়ে ১৫ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা ঘুষ রেখে দেওয়া হচ্ছে। আবার এমন লোককেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে যাদের কোন জমিজমা ও বাড়িঘর কিছুই নেই। আর ওই ঘুষের টাকা ব্যাংক ম্যানেজার, ব্যাংকের আই এবং সংশ্লিষ্ট দালালের মাঝে বিতরন হচ্ছে । দালালীর কাজে বেশ কয়েকজন দালাল সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। দালালরা নিজেরা ৫শ টাকার বিনিময়ে ভূয়া মাঠ পরচা তৈরী করে ঋণ নেওয়ার কাজে ব্যবহার করছে। প্রত্যহ্মদর্শীরা জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে নাসির নগর সোনালী ব্যাংক থেকে এ রকম প্রায় দেড়/দুইশ জনের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরন করা হচ্ছে এবং আরো ঋণ বিতরনের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিদিনই এ রকম বেশ কয়েকজনকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে যাদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে তাদের কয়েক জনের মাঝে রয়েছে, কুলিকুন্ডা গ্রামের হাসিনা বেগমের নামে ১৫ হাজার, তার স্বামী আজহারুল ইসলামের নামে ১২ হাজার, আশুরাইল গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে মোঃ খালেক মিয়ার নামে ১৫ হাজার, তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের নামে ১৫ হাজার। নাসিরনগর সদরের সাজিদুর রহমানের নামে ১৫ হাজার ও তার ছেলে মোঃ জিয়াউল ইসলামের নামে ১২ হাজার। কুলিকুন্ডা গ্রামের রাসেদা বেগমের নামে ১২ হাজার তার স্বামী জাহের মিয়ার নামে ১৫ হাজার, কুলিকুন্ডা গ্রামের মৃত বড় আবুর ছেলে মোঃ তৌহিদ মিয়া ১৫হাজার ও তার স্ত্রীর নামে ১৫হাজার টাকা ছাড়া আরো অসংখ্য লোকে এভাবে ভূয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে অনেক টাকা ঋণ নিয়েছে বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে এ বিষয়ে সোনালী ব্যংকের শাখা ব্যাস্থাপক প্রাণকৃষ্ণ শাহার সাথে কথা বলে এ বছর চলতি মৌসুমে কৃষি ঋণ বিতরনের পরিমান কত, জানতে চাইলে, তিনি জানান এক কোটি টাকা। আদায় কতভাগ জানতে চাইলে তিনি জানান শতভাগ। কোনরুপ কাগজপত্র ছাড়া এবং এই পরিবারের একাদিক ব্যাক্তিকে ঋণ দেওয়া যায কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন ঋণ নিতে কোনরুপ কাগজ পত্র বা মাঠ পর্চা  লাগেনা এবং নেওয়ার কোন বিধান ও নেই। তিনি আরো জানান কাগজপত্র যাচাইয়ের মালিক আমি না, আইও । তিনি বলেন ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কেউ আজ পর্যন্ত আত্মসাৎ করতে পারেনি। ঋণ নিতে গিয়ে দালালের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে ঋণ নিচ্ছে এমন অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তখন তিনি নিশ্চুপ থেকে হঠাৎ তিনি বলে উঠেন নাসিরনগরের লোকজন ভাল না, তাই এখানে কেউ চাকরি করতে আসে না । এ বিষয়ে ব্যাংকের স্টাফ মোঃ দুলাল মিয়া দালালের সত্যতা স্বীকার করে বলেন দালাল আছে সত্য । আমাদের স্টাফ সংকট তাই কয়েকজন দালালকে দিয়ে মাঠ থেকে ঋণ আদায় করতে হয়। তাদেরকে তো আমরা বেতন দিতে পারি না। তাই তাদেরকে খুশি করতে কিছু সুয়োগ সুবিধা দিতে হয়। জানা গেছে গত কোরবানীর  ঈদে ও উক্ত ব্যাংকের শাখা থেকে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। 






Shares