রাজনীতিতে রাজাকারদের পদচারনাঃঃ নাসিরনগরে চলছে তুলকালাম কান্ড।
রাজাকার অন্তর আলীর বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশঃ
নাসিরনগর(ব্রাক্ষণবাড়িয়া)সংবাদদাতাঃ ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা দুই রাজাকার সন্তানের তালিকা প্রকাশ নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক তুলকালাম ।গত ৭ ও ২২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা সংসদ নাসিরনগর উপজেলা কমান্ড ও জেলা কমান্ড থেকে গোর্কণ ইউনিয়নের সূচীউড়া গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার মোঃ অন্তর আলীর ছেলে নাসিরনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম বেলায়েত ছাড়া ও হরিপুর ইউনিয়নের তাজউদ্দিনের ছেলে হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ ফারুকের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্বা কমান্ড বরাবরে লিখিত চিঠি প্রেরণ করা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,গণজাগরণ মঞ্চ,মুক্তিযোদ্বারা সহ এলাকার সচেতন মহল মিলে প্রথমে নাসিরনগর শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে মানব বন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।পরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।পরে ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ও অনুষ্টিত হয় ।ওই সংবাদ সম্মেলনের পর ব্রাক্ষণবাড়িয়া সিলেট বিশ্বরোডের চৌরাস্তা বিশাল লোকের সমন্ময়ে বিশাল মানব বন্ধন,প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।এ সমস্ত সংবাদ সম্মেলন ,বিক্ষোভ মিছিল,প্রতিবাদ সমাবেশ,মানব বন্ধনের খবর বিভিন্ন স্থানীয়,জাতীয়,অনলাইন,সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন সহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।তাতে টনক নড়ে সরকার, দেশের মুক্তিযোদ্বাসহ এলাকার জনগণের।সচেতন মানুষ জানতে পারে ৭১ এ রাজাকারদের কর্মকান্ড সম্পর্কে।যা এ প্রজন্মের লোকদের অনেকটাই অজানা ছিল।
সরেজমিন অনুসন্ধানে এলাকায় গেলে জেলার গোর্কণ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণশাসন গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবি এডঃ মোঃ আব্বাস উদ্দিন, নুরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্বা পরিবারের সন্তান এম এ কাসেম,ডাঃ মোঃ রফিকুজ্জামান, গোর্কণ ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হান্নান সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো প্রায় শতাধিক লোকজন এ প্রতিনিধিকে জানান ওই ইউনিয়নের সূছীউড়া গ্রামের কুখ্যাত অন্তর আলী রাজাকারের শে কিছু অজানা কাহিনী।
তারা জানান,ওই সময়ে অন্তর আলী রাজকার ও তার দলবল মিলে জেঠাগ্রামের কুঞ্জমোহনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালীয়ে দেয়।লুট করে নেয় বাড়ির মালামাল ,নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মুল্যবান জিনিস পত্র। অন্তর আলী রাজাকার তার বাহিনী নিয়ে নুপুর গ্রামের চুনি ডাক্তারের সুন্দরী কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে। পরে ওই মেয়েটিকে তারা দাহ করতে না পেরে মাঠি খুড়েঁ কবর দেয়।মুক্তিযোদ্বা পরিবারের সন্তান এম এ কাসেম বলেন অন্তর আলী রাজাকার তার দলবল নিয়ে আমার ভাই মোঃ শওকত আলীকে মেরে ফেলে । আমার ভাইয়ের দুটি মেয়ে আছে রওশন আরা ও মাহমুদা নামের।তারা আজো তাদের বাবাকে ডাকতে পারেনি।পরে রওশন আরা কে সরাইল থানার বাড়িউড়া গ্রামের আরেকজন মুক্তিযোদ্বা বিয়ে করে।আর মাহমুদার বিয়ে হয় গ্রামে।প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান রাজাকার অন্তর আলী তৎকালীন সময়ে তার ঘরে স্ত্রী থাকার পরে ও স্ত্রীর বড়বোন (অন্তর আলীর আপন জেঠাস) মন্নর আলীর স্ত্রী বা রৌউফ মিয়ার মাকে এনে বিয়ে করে ফেলে ।আপন জেঠাস বিয়ে করার কারনে তার স্ত্রীর তারাক হয়ে যায়।এই চাপা কষ্ট বুকে ধারন করে অন্তর আলীর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়।তারা আরো জানান রাজকার অন্তর আলী তার জেঠাসকে বিয়ে করার সময় সে ছিল তখন প্রায় ৫ মাসের গর্ভবর্তী ।অন্তর আলীর ২য় স্ত্রী বা আপন জেঠাস তার ঘরে আসার ৫ মাস পর একজন পুত্র সন্তান প্রসব করে ।তারা জানান তা ছাড়াও ওই সময়ে অন্তর আলী রাজাকার আরো বহু জগন্যতম ও লোমহর্ষক কর্মকান্ড চালিয়ে ছিল যাহা বর্ননা করা সম্ভব নয় আর এ গুলো বর্ননা করতে গেলে গা শিউরে উঠে ।
১২ মার্চ বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নুরপুর গুরর বাজার থেকে চৌয়ারকুড়ি বাজার পর্যন্ত চলে অন্তর আলী রাজাকারের সমস্ত কুকর্মের বিরোদ্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।এতে এলাকার প্রায় ২/৩ হাজার লোক হাতে লাঠ সোটা নিয়ে অংশ গ্রহণ করে । মিছিলে নেত্রীত্ব দেন এডঃ মোঃ আব্বাস উদ্দিন,প্রভাষক মোঃ মাঈন উদ্দিন শান্ত,মহিদুজ্জামান টিটু,এম এ কাসেম,মোঃ শহিদ মাষ্টার সহ নাম না জানা আরো অনেকেই ।
প্রতিবাদকারীরা অনতিবিলম্বে অন্তর আলী রাজাকারের ফাঁসি সহ ন্যায় বিচার ও তার ছেলেদের আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের দলীয় পদ থেকে অপসারনের দাবী জানান।