নাসিরনগরে আবারো আগুন। পরিস্হিতি ঘোলাটে হবার আশংকা



ডেস্ক ২৪:: কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্হা ও সার্বক্ষনিক পুলিশী টহলের মধ্য দিয়েও নাসিরগরে ৪ টি হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। নমশুদ্র পাড়ায় ফুল কিশোর সরকারের গোয়াল ঘর, মনাল কান্তি সরকারের রান্নাঘর ও একটি পরিত্যক্ত ঘর, ঠাকুর পাড়ায় বিশ্বদেব চক্রবর্তীর পরিত্যক্ত ঘর এবং পশ্চিম পাড়ায় সাগর দাসের বাড়ির দূর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রতিটি বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, ভোর তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে এ আগুন লাগানো হয়। এ সময় তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আগুন নেভান।
একজন পত্যক্ষদশী জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে তিনি একটি সিএনজি কে ঘটনাস্হল থেকে বেরিয়ে খেলার মাঠের মাঠের উত্তর দিকে চলে যেতে দেখেন।
এ ঘটনাগুলোকে রহস্যজনক মনে করছে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। গতকাল রাত্রে নাসিরনগর উপজেলার সমস্ত হিন্দু নেতৃবৃন্দ দুই শতাধিক হিন্দু সাধারন নাগরিক রাত দশটায় স্হানীয় ডাক বাংলোয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। ঐ বৈঠকে মন্ত্রী মহোদয় সবার খোজ খবর নেন এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে সবাইকে আশ্বস্হ করেন। দুই ঘন্টা ব্যাপী বৈঠক শেষে হিন্দু নেতৃবৃন্দ সহ এলাকাবাসী যার যার বাড়িতে ফিরে যান।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন এবং স্হানীয় প্রশাসনের শীষস্হানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন। নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ জানান, কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতীকারী এলাকার শান্তি বিঘ্ন ঘটাবার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা খুজে দেখা হচ্ছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজিত কুমার দেব জানান, ঘটনার পতিবাদে এবং পূর্বঘোষিত কর্মসৃচী অনুযায়ী আমরা এখন মানববন্ধন ( সকাল ১১ টায়) করছি। বারবার এ ধরনের ঘটনায় আমরা আতন্কিত। মম্ন্দির ভাঙ্গার কয়েকদিনের মধধ্যে আবার আগুন। ঘটনাগুলো আমাদের কাছে পূর্বপরিকল্পিত মনে হচ্ছে। আমরা এ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত খুজে বের করার দাবী জানাচ্ছি।