গ্যারেজ কর্মচারী হারুনের পায়ুপথে বাতাস ঢুকানোর ঘটনায় থানায় মামলায় গ্রেফতার ৩
মোঃ আব্দুল হান্নানঃ- ঢাকার মোহাম্মদপুরে মাইক্রো বাস গ্যারেজ কর্মচারী হারুনের পায়ুপথে মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকানোর ঘটনায় মালিক সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় হারুনের ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক সাদ্দাম হোসেন ও তিন কর্মচারীসহ চারজনকে আসামী করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা নং ৩ তারিখ ১/৯/২০১৬ইং রুজু করে। মামলার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে গ্যারেজ মালিক সাদ্দাম হোসেন, কর্মচারী মিন্টু মিয়া ও হাসানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ওই ঘটনায় আদালত ৩ আসামীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানার অপারেশন অফিসার মোঃ আবজাল হোসেন।
মাইক্রোবাস গ্যারেজ কর্মচারী হারুনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে হারুনের পিতার নাম মো: আবেদ আলী ও মায়ের নাম: মোছা: আয়েসা বেগম। এ ঘটনাই তাদের বাড়িতে চলছে কান্নান রোল। হারুনের মা,বাবা ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। হারুনের বাবা একজন অতিদরিদ্র শ্রমজীবি মানুষ। হারুনরা তিন ভাই, চারবোন। তিন ভাইয়ের মাঝে হারুন (১১) সবার ছোট। মা বাবার অভাবের সংসারে হাল ধরতে কাজের সন্ধানে হারুনকে পাঠানো হয় ঢাকায়। যে বয়সে বই,খাতা,কলম, হাতে নিয়ে স্কুলে পড়া ও বন্ধুদের সাথে খেলার কথা হারুনের, সেই বয়সে সামান্য বেতনে কাজ নেয় একটি মাইক্রো বাসের গ্যারেজে। ঘটনার দিন সামান্য বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে মালিকের নির্দেশে সহকর্মীরা মিলে হারুনকে হাতে পায়ে ঝাপটে ধরে তার পায়ুপথে মেশিন দিয়ে ঢুকানো হয় বাতাস। মুহুর্তেই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে হারুন। তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে হারুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৃতীয় তলায় আই,সি,ইউতে ৫নং কেবিনে অজ্ঞান অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জায় লড়ছে। এখন পর্যন্ত ডাক্তাররা ও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কোন কিছু । হারুনের ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক জানা জানি হয়ে পড়লে ইলেকট্রনিক্র,প্রিন্ট ও সোসাল মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে ঝড় উঠে।
১লা সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় হারুনের ভাই মোঃ রিপন মিয়া বাদী হয়ে ৪জন কে আসামী করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর অপারেশন অফিসার আবজাল হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অপারেশন অফিসার আবজাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ৩ জন কে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে। আদালতের মাধ্যমে তাদের ৬৪ ধারা জবানবন্দি রেকর্ড ও অপর পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায়। এ বিষয়ে মামলা বাদী মো: রিপন মিয়া তিন জনকে গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিশ করেন।