সরাইলে শহীদ মিনারে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশ সহ আহত ২০
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে সংর্ঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে শুক্রবার সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিসুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপুর গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টারের গ্রুপের লোকদের মাঝে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে ।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু’র নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা কোনো প্রকার শ্লোগান ছাড়া ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করবেন । এমন সময় বিপরীত দিক থেকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টারের গ্রুপের বেশকিছু লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু গ্রপের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে । এরি মধ্যে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আহবায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে গেলে সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা একে অপরের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের ছুড়া ইটের আঘাতে পুলিশ সহ দু’গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয় ।
জানতে চাইলে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, কেন্দ্র থেকে সরাইল উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। তবে জেলা আহবায়ক জিল্লুর রহমান বলেছে কমিটি বহাল আছে। তাই আমি দলীয় কার্যক্রম থেকে বিরত আছি। সংর্ঘর্ষের ব্যপারে আমি কিছুই জানি না।
সরাইল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু জানান, আমরা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করার সময় আনোয়ার মাস্টারের লেলিয়ে দেওয়া কিছু সন্তাসী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সাংগঠনিকভাবে এ ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা দলীয় হাইকমান্ডের নিকট সুপারিশ করব।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন খন্দকার ও এএসআই দিলীপ কুমার নাথ সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।