‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’
করোনা ভাইরাস! সরাইলে কর্মকর্তাদের প্রতি ইউএনও’র হুশিয়ারি
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ সরকারের কেবিনেট সচিব ও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পত্রের বরাদ দিয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বলেন, সরকার ছুটি দিয়েছেন আপনাদের নিরাপত্তার জন্য। ভ্রমণ বা বাড়িতে যাওয়ার জন্য নয়। কারন অফিস খোলা থাকলে লোকজন আসবে যাবে। যাহা করোনা ভাইরাসের জন্য বড় ধরনের হুমকি। কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। আল্লাহর ওয়াস্তে কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করূন। কারন সরকার দায়িত্ব তুলে নেননি। কে কোথায়? কিভাবে অবস্থান করবেন? সেটা আপনাদের বিষয়। করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত ঠেকাতে অবশ্যই সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। যেটা যখন প্রয়োজন আমি চাইব। আপনাকে অব্যশ্যই তা যেকোন উপায়ে দিতে হবে। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, আপনার ৬শত শিক্ষক রয়েছে। মাত্র একটি তথ্য চেয়েছি। দুইদিন চলে যাচ্ছে। তারা দিতে পারছেন না। তাদের প্রতি আরো কঠোর হয়ে নির্দেশ দেন। দ্রুত তথ্য নিয়ে আসেন। এমন ভাবে বিলম্ব করলে পরিস্থিতি সামাল দিব কিভাবে? সকল কাজ কি আমার একার পক্ষে সম্ভব? প্রত্যেক ইউনিয়নে দায়িত্ব প্রাপ্ত টেক অফিসারদের উদ্যেশ্যে বলেন, আপনাদের কাজে সন্তুষ্ঠ হতে পারলাম না। কারন আপনারা আজ পর্যন্ত বিদেশ থেকে আগতদের পূর্ণ তালিকাটা দিতে পারেননি। এখন কোন দায়িত্ব পালনে খামখেয়ালি করলে গ্রাম পুলিশের বেতন কেটে দিব। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানরা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখব। পরে কি হবে জানার দরকার নেই। কারন ‘দেওয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’। সরকার আমাদের বেতন দেয় দায়িত্ব পালন করার জন্য। মানুষের সেবা করার জন্য। মহা দূর্যোগের সময় বসে থাকার সুযোগ নেই। কেই হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকবেন না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি যদি চলে যায় ওই পরিবারের কি অবস্থা হবে? নিজেকে দিয়ে একবার ভাবুন। এ ক্ষতি পূরণ করার ক্ষমতা কারো নেই। চেয়ারম্যানদের উদ্যেশ্যে ইউএনও বলেন, সচিব কোথায় থাকবে? কি করবে? সেটা তার বিষয়। আমি যখন যা চাইব। সাথে সাথে দিতে হবে। প্রয়োজনে হাতে লাঠি নেন। গুটি কয়েক জনের জন্য সকলের জীবন ধ্বংস করা যাবে না। লকডাউন ও কোয়ারেন্টিং না মানলে প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহার করেন।
সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থানীয় পিআইও অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জরূরী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপরোল্লেখিত কথা কথা গুলো বলেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা। সভায় উপজেলার বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।