Main Menu

দরপত্র আহবান ছাড়াই সরাইল প্রাণি সম্পদ হাসপাতালে গাছ বিক্রয়

+100%-

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃসরাইল প্রাণি সম্পদ হাসপাতালে গাছ বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞাপন ছাড়াই লক্ষাধিক টাকা মূল্য নির্ধারন করে কৌশলে বিক্রি করা হয়েছে ৩৬ টি কাঠের গাছ। সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া নিয়েও চলছে ম্যানুয়েল বিতর্ক। এ অনিয়ম মানতে নারাজ ইউএনও। তবে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞাপন ছাড়া নিয়ম মাফিক ওই গাছ গুলো বিক্রয় করা হয়েছে। প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল চত্বরের ছোট বড় ভিন্ন জাতের ৩৬টি কাঠের গাছ। বন কর্মকর্তা মেহগনি ও শিল কড়ই প্রতি ঘনফুট কাঠের মূল্য ৩’শ টাকা ও ছায়া কড়ই কাঠের মূল্য ২’শ টাকা ধরে মূল্য নির্ধারন করেছেন। অথচ মেহগনি কাঠের সরকারি মূল্য হচ্ছে ১৫-১৬’শ টাকা। ৩৬টি গাছের সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮’শ ৫০ টাকা। ১৫ দিন আগে ইউএনও, উপজেলা প্রকৌশলীর দফতরে গাছ বিক্রয়ের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নিজেরাই তৈরী করেছেন টাকা জমা নেওয়ার রশিদ। কোন সিডিউল বিক্রি হয়নি। ১০ হাজার টাকা ( ফেরত যোগ্য) জামানত দিতে পারলেই দরদাতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। সৈয়দটুলা ও কালিকচ্ছের ২জন, উচালিয়া পাড়া গ্রামের ৯ জন সহ মোট ১১ জন জামানত প্রদান করে দরদাতার যোগ্যতা অর্জন করেন।  ১ লাখ ৭ হাজার ৫’শ টাকা ডেকে সর্বোচ্চ দরদাতা হন রাকিব মিয়া নামের এক ব্যক্তি। পরে ওই গাছ গুলো দর দাতাদের একজন ক্রয় করেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায়। যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনির উদ্দিন আহমেদ, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মাহফুজ আলী, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক কাজী আমিনুল ইসলাম শেলভী ও স¤্রাট ফার্নিশার্সের মালিক ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল সহ একাধিক কাঠ ব্যবসায়ি জানান, অনিয়মের মাধ্যমে গোপনে কম মূল্যে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সরকারি গাছ গুলো বিক্রয় করে দিয়েছেন। আমরা কিছুই জানি না। পত্রিকায় কোন বিজ্ঞাপন ও দেয়া হয়নি। পুনরায় বৈধ ভাবে সকলের অংশ গ্রহনে টেন্ডার দেয়া হউক। সরকারি খাতে আরো অধিক  টাকা জমা হবে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার মুঠোফোনে (০১৭১৯-৩২৪৪০৭) একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মজিবুর রহমান বলেন, ফান্ড নেই তাই বিজ্ঞাপন দেয়নি। তবে নোটিশ দিয়েছি। এ ছাড়া আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নিয়মের মধ্যেই সব করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, গাছ বিক্রয়ে অনিয়মের কথা শুনেছি। বিষয়টি ভাল ভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।






Shares