Main Menu

সরাইলে মা’কে অজ্ঞান করে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল থেকে::সরাইলে মা’কে অজ্ঞান করে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার রাত ৩ টায় উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামে লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামবাসী জানায়, বুধবার রাতে বিশুতারা গ্রামের এক হতদরিদ্র পরিবারের মা (৪০) তাঁর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মেয়ে ও ছেলে সন্ধ্যার পর পর রাতের খাবার খায়। কিন্তু মা রাতের খাবার খান ১১ টার দিকে। রাত তিনটার দিকে ঘরের বেড়া কেটে তিন বখাটে ঘরে ঢুকে। বখাটেরা ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে বের করে ফেলে। এ সময় ওই ছাত্রীর হালকা চিৎকারের শব্দ শুনে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী সজ্ঞাহীন অবস্থায় মা’কে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা বাবুর চন্দ্র সাহা বলেন, খাদ্যে অজ্ঞান করার পদার্থ মিশিয়ে ওই নারীকে এমনটি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, ছয় মাস আগে ওই পরিবারের বড় মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের চেষ্টা করে গ্রামের শহিদুল ইসলাম নামের এক বখাটে। পরে গ্রামবাসী ওই মেয়েকে তার সাথে বিয়ে দেন। ওই মেয়ের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, “অহন জামাই যৌতুকের জন্য মেয়েডারে নেইনা। মামলা দিছি, জামাই ১৯ দিন ধইরা জেলে আছে। অহন ছুডো মাইয়াডারে ক্ষতি করনের লাইগা উইট্টা পইড়া লাগছে। আমি কই যামু কি করুম বুজতাছিনা। দেশটাত কি বিচার নাই।”গত বুধবার রাতের ঘটনায় গ্রামের ইউপি সদস্য ফজল আলীর ছেলে বখাটে জিহাদুল ইসলাম (২৭) জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে ওই শিশুর পরিবার। গ্রামে গিয়ে তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। এ ব্যাপারে জিহাদুলের বাবা ফজল আলী বলেন,  এরা অসভ্য মানুষ। সব ডাহা মিথ্যা কথা। আমার ছেলেকে জড়িয়ে মিথ্যা রটানো হচ্ছে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে মুঠোফোনে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি কাজে গেছিলাম। এসে শুনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আলী আরশাদ বলেন এমন একটি ঘটনা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি।  






Shares