ইকবাল হত্যাকাণ্ড :: বিচার নিয়ে শঙ্কা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা



নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে প্রকাশ্যে খুন হন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ইকবাল আজাদ। এ হত্যাকণ্ডের পর দুই বছরেও বিচার পায়নি তার পরিবার। বিচার হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কিত তারা। ফলে দোষিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চায় তার পরিবার ও স্বজনরা।
সূত্র জানায়, হত্যার দুই বছর পূর্ণ হবে ২১ অক্টোবর। এ হত্যাকণ্ডের মামলার মূল আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। কোনো রায় হয়নি এখনো। ফলে ন্যায় বিচায় প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কিত নিহত ইকবাল আজাদের স্বজনরা। তাই উপায়ান্তর না পেয়ে এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বাজারে নিজ দলীয় কতিপয় নেতাকর্মীদের হাতে প্রকাশ্যে খুন হন জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ। তাকে হত্যা করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল সরাইল উপজেলার মানুষ। হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটেছিল।
এ হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২২ অক্টোবর নিহত ইকবাল আজাদ এর ছোট ভাই জাহঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক রফিকউদ্দিন ঠাকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, সরাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার সহ ২২ জনসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে আদালতে ২৭ জনকে মামলার আসামি করে চার্জশীট দেয় পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি চট্রগ্রামে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হাইর্কোটে আসামিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
ইকবাল আজাদকে হত্যার অভিযোগে ঘটনার পরপরই সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে জেলা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। রাতের আধারে পালিয়ে যায় মামলার আসামিরা।
পরবর্তী সময়ে মামলার আসামিরা হাইকোর্ট খেকে আগাম জামিন নিয়ে একটি শক্তিশালী চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবারও রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা। বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিয়ে এখন শঙ্কিত ইকবাল আজাদের পরিবার ও স্বজনরা।
মামলার বাদী নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই জাহঙ্গীর আজাদ ভাই হত্যার বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
নিহত আজাদের স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ জানান, আসামিরা জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই দ্রুত বিচার কাজ শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’