Main Menu

সরাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের কান্ড !

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ , সরাইল

সরাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ক্লাশ ফাঁকির ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন একাধিক অভিভাবক সহ এলাকাবাসী। বিভিন্ন কৌশলে ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে করছেন আমীনতি (ভ’মি মাপের কাজ)। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় অনেক অভিভাবক মুখ খুলার সাহস পান না। শিক্ষকদের ক্লাশ ফাঁকির বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন খোদ শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সরজমিনে লোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম দুলাল অনুপস্থিত। সহকারি শিক্ষিকা পারভিন আক্তার জানান অসুস্থ্যতার কারনে স্যার ছুটিতে আছেন। অথচ তিনি ওই সময়ে বিদ্যালয়ের পাশে ভুইশ্বর গ্রামের মাঠে মোটা অংকের ভিজিটে জমি মাপার কাজে ব্যস্ত। বিদ্যালয়ের নিকটে বাড়ি হওয়ায় যোগদানের কিছুদিন পর থেকেই তিনি এমনটি করছেন। কখনো নামমাত্র ছুটি নিয়ে। বেশীর ভাগ সময় ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লিমা আক্তার, মনির, তৃতীয় শ্রেণীর শাকিল, সজিব ও আমির হোসেন জানায়, দুলাল স্যার মাঝে মধ্যে স্কুলে আসেন। এক সপ্তাহ আগে একবার সোনার বাংলা গান গাইছিলাম। পরে আর স্যার আফারা গাইতে কয় না। আমরা অ গাই না। সহকারি শিক্ষকা রাফিয়া নাছরিন বলেন, মাঝে মধ্যে এ্যাসেম্বলী হয়। অভিভাবক আজিজুর রহমান (৫২),  ইছহাক মিয়া (৩৮) ও ডাঃ নাছির মিয়া বলেন, কে বলেছে দুলাল মাষ্টার অসুস্থ্য ? সকাল ১১টার দিকে দেখেছি ভুইশ্বরে জমি মাপার কাজ করছেন। মাপে টাকা বেশী। তাই তিনি নিয়মিত স্কুল ফাঁকি দিয়ে এ কাজ করে চলেছেন। এই মাষ্টারকে বদলী করে বাচ্চা ছেলে মেয়ের শিক্ষা জীবন বাঁচান। একই ইউনিয়নের ঘাঘরাজুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় সহকারি শিক্ষক আবু তাহের অনুপস্থিত। এক শিক্ষার্থী দৌঁড়ে এসে জানায় স্যার জমি মাপতে গেছে। দীর্ঘক্ষণ পর প্রধান শিক্ষক জানান সম্ভবত: তিনি নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে গেছেন। আমি মাত্র বিষয়টি জেনেছি। ছুটি অনুমোদন হয়নি। ইউএনও’র নির্দেশে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতা সীজ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক অভিভাবক বলেন, আবু তাহের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করেই অনেক দিন ধরে বিদ্যালয় চলাকালে জমি মাপার কাজ করছেন। প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল মালেক সহকারি শিক্ষকের জমি মাপার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি বিধি মোতাবেক ছুটি নিয়েই এ কাজ করেন। উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ খবর নিয়ে এ সকল বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব। তাজুল ইসলাম ও আবু তাহের বলেন, ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে জমি মাপার কাজে যায় না। অসুস্থ্যতার জন্য ছুটি নিয়েছি।






Shares