নানা অভিযোগে অবশেষে খাদ্য কর্মকর্তার বদলি
![+](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/plus.png)
![100%](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/100.png)
![-](http://brahmanbaria24.com/wp-content/plugins/zoom-widget/elements/images/1/minus.png)
প্রতিনিধিঃ অবশেষে সরাইল উপজেলা খাদ্য গুদামের সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ভূইয়াকে চাউল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে বদলি করেছেন কর্তৃপক্ষ। বুধবার তার বদলির নির্দেশ পত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিকুল ইসলাম। তার বদলির খবরে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছেন খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যবসায়ী ও সরাইলের বিভিন্ন স্থরের লোকজন। গত সোমবার তার অনিয়ম তদন্ত করে গেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) রিপন চাকমা। নানান অভিযোগের কারনে তদন্তের দুইদিন পরই তাকে তাৎক্ষনিক বদলি করা হয়েছে। তবে এত অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার পরও উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে কোন ধরনের স্বাস্থ্যি না দিয়ে তাৎক্ষনিক বদলি করায় অনেকেই ক্ষোভ ও অন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে ধান চাউল সংগ্রহ অভিযানে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন আসাদুজ্জামান। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার দফতরের লোকজনকে পাশ কাটিয়ে নিজের গড়া সিন্ডিকেটের লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শত শত টন বিবর্ণ ও দূর্গন্ধযুক্ত চাউল সংগ্রহ করেছেন। তিনি কোন সময়ই খাদ্য পরিদর্শকের ছাড়পত্রের দাড় দাড়েননি। গত ২৩ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুদামে হাজির হন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় নিম্ন মানের চাউল গ্রহনের ঘটনাটি। ১৭২ বস্তা চাউল সহ ট্রাক ফিরিয়ে দেন। তাৎক্ষনিক ১৪০১ বস্তা চাউল জব্দ করেন ইউএনও। চাউলের নমুনা সহ এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেন জেলা প্রশাসকের নিকট। জেলা প্রশাসক গুদামে সংরক্ষিত ১৪০১ বস্তা চাউলের গুনগত মান তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য গত ৪ আগষ্ট ৩৭৩/১(৩) নং স্মারকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) কে পত্র দেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ আগষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) রিপন চাকমা গুদামের চাউল তদন্ত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার চট্রগ্রাম অঞ্চলের খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ কে এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে আসাদুজ্জামানকে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়। সরাইল প্রেস কাবের সম্পাদক বদর উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত বড় মাপের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে কোন ধরনের স্বাস্থ্যি না দিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে শুধু তাৎক্ষনিক বদলির নির্দেশ আমাদেরকে হতাশ করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য ক্রয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, তার বদলির বিষয়টি মূলত: খাদ্য বিভাগের বিষয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জব্দকৃত ১৪০১ বস্তা চাউলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে। |