সরাইলে সরকারি জায়গা দখলের মহোৎসব
সরাইল প্রতিনিধিঃ সরাইলে সরকারি জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে। দখলকে স্থায়ী করার জন্য প্রয়োগ করা হচ্ছে অভিনব কৌশল । উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৬১৬৭ নং দাগের ১৯ শতক জায়গায় (কাচারী পুকুর) চলছে দখলের নামে টানা খেঁচড়া। স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে উপজেলা সদরে বড় খাস জায়গা এটি। প্রয়োজনে সরকারি কোন অফিস বা স্থাপনা নির্মান করার জন্য এ পুকুর ছাড়া আর কোন জায়গা নেই। সদর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের এ পুকুরটি এক সময় ছিল অত্যন্ত গভীর। এটিতে এক সময় মাছ চাষ করা হতো। লোকজন গোসল দিত। কালের আবর্তে পুকুরটি হারিয়েছে তার গভীরতা। এখন শুধু নামেই পুকুর। পুকুরটির দক্ষিন ও পূর্ব পাড়ে দীর্ঘদিন পূর্ব থেকেই গড়ে উঠেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যবসা প্রত্ষ্ঠিান। পশ্চিম পাড়ে বসত বাড়ি। বাজারের পানি ও ময়লা আবর্জনায় পুকুরের চার পাড় ভরে গেছে। সুযোগ গ্রহন করেছেন পাড়ের কিছু ব্যবসায়ী। প্রথমে বাঁশ বসিয়ে টিনশেড করে। পরে অনেক জায়গায় দেওয়াল নির্মান করে পুকুরের জায়গা দখল চলছে দীর্ঘদিন যাবত। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নলকূপটি কায়দা করে বসিয়েছেন পুকুরে। এ ভাবেই চলছে দখল প্রক্রিয়া। বর্তমানে জায়গাটি আর ১৯ শতক নেই। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা জায়গাটি লীজ নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। সরাইল সদর ইউনিয়নের উপ- সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া বলেন, সরকারি কোন ইমারত নির্মানের জন্য একমাত্র জায়গা এটি। এছাড়া কাচারী পুকুর লীজ দেওয়ার কোন বিধান নেই। সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, পুকুরটি বর্তমানে ময়লা আবর্জনায় ছয়লাব হয়ে আছে। দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দ্রুত এটি পরিস্কার করে পরিবেশ দূষণমুক্ত করব। |