তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সরাইলের পল্লীতে সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত অর্ধশতাধিক
প্রতিনিধিঃ সরাইলের পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দু’গোষ্টীর সংঘর্ষে আমির মিয়া (১৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সাত জনকে। উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়–ইছাড়া গ্রামে গত সোমবার ও রোববার দু’দফা সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। ফের সংঘর্ষ রোধে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রোববার বিকেলে বড়–ইছাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দোকানে মোবাইলের বিশ টাকা মূল্যের প্রিপেইড কার্ড ২২ টাকা বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে পশ্চিম পাড়ার মধ্যবাড়ির নুর উদ্দিন (২৩) ও পূর্ব পাড়ার জাকির হোসেনের (২৪) মধ্যে প্রথমে বাক বিতন্ডা এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ওই দিন সন্ধায় দু’গোষ্টীর সহস্রাধিক লোক দেশীয় অস্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায় দফায় দুই ঘন্টা স্থায়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন লোক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত মধ্যবাড়ির ধনগাজীর ছেলে আমির কে প্রথমে জেলা সদরে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার দুপুরে ফের তারা দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন লোক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড টিয়ার সেল ছোড়ে। পুলিশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- জসিম উদ্দিন (৩৮), ফজলুল হক (৩০), আবদুল মাহাবুব (৩২), এনামুল হক (২৫), ফয়সাল (২৮), আলমগীর মিয়া (২২) ও মিজানুর রহমান (২৬)। সোমবার সন্ধায় আহত যুবক আমির চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ খবরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত আমিরের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। |