Main Menu

সরাইলে গরু চোর যখন ইউপি সদস্য প্রার্থী

+100%-


প্রতিনিধিঃ সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ছয় নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচন আগামী ১০ জুন। প্রার্থী হয়েছেন চার জন। দুই প্রার্থীর এক জনের বিরুদ্ধে রয়েছে দু’টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। অপর জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গরু চুরির অভিযোগ ও গ্রেপ্তারি  পরোয়ানা। আসামী হয়ে ও তারা দু’জনই বীর দর্পে উপজেলায় এসে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন। বাছাইয়ে ও কেউ বাদ পড়েননি। স্বশরীরে হাজির হয়ে নিয়েছেন প্রতীক বরাদ্ধ। রহস্য জনক কারনে নিরব প্রশাসন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ২৬ মার্চ জায়গা সংক্রান্ত বিরুধের জের ধরে ইউপি সদস্য মোঃ মারাজ মৃধা খুন হয়। ফলে ওই ওয়ার্ডটি সদস্য শুন্য হয়ে পড়ে। শুন্য পদে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন উপজেলা প্রশাসন। মনোনয়ন পত্র বিক্রয় জমা  বাছাই ও প্রতীক বরাদ্ধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব ও দেয়া হয়েছে একজন কর্মকর্তাকে। আগামী ১০ জুন নির্বাচন। প্রার্থী চার জন। তারা হলেন- মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া, অলি আহাদ, মোঃ শামীম মিয়া ও শ্রী নয়ন চন্দ্র দাস। নির্বাচন কর্মর্তার সাফ কথা ইউপি সদস্য নির্বাচনের বেলায় মামলা মোকদ্দমা কোন বিষয় না। এটা দেখবে পুলিশ। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, প্রার্থী শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। নয়ন চন্দ্রের বিরুদ্ধে রয়েছে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এ ছাড়া নয়নকে গরু চুরির দায়ে রশি দিয়ে বেঁধে সালিশের মাধ্যমে বিচার করেছিল গ্রামবাসী। মারাজ মেম্বার হত্যার পেছনে শামীম ও নয়নের সহযোগীতা রয়েছে এমন অভিযোগ করছেন মারাজের পরিবার। এত কিছুর পর ওই দুই জন অফিসে হাজির হয়ে কিভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করলেন ? গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে গেলে প্রার্থী জাহাঙ্গীর ও অলি আহাদ সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্ত করেছেন নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়নে তাদের করনীয়। খবর পেয়ে ও আসেননি শামীম ও নয়ন। বুড্ডা গ্রামের বাসিন্ধা মোঃ দুলাল মিয়া ও শান্টু দাস গুপ্ত বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে। তাই তারা এখানে আসছেন না। নির্বাচনের দিন তারা পুলিশের সামনে কেন্দ্রে আসবেন কিভাবে ? প্রার্থী অলি আহাদ অভিযোগ করে বলেন, শামীম ও নয়ন আমার দায়ের করা মামলার আসামী। প্রকাশ্যে ঘুরছে। পুলিশকে বললেও না শুনার ভান করে। তারা আমাকে বাবার মত যে কোন সময় হত্যা করে ফেলবে। মোঃ শামীম মিয়া মামলার কথা স্বীকার করলেও অন্য অভিযোগ গুলো মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, মামলা থাকলেই আসামীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমানিত হতে হবে। অনেক সময় তো মামলার নামে নাটক হয়ে থাকে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দ বলেন, সংসদ ও চেয়ারম্যান নির্বাচনে মামলা আইনগত বাঁধা। কিন্তু ইউপি সদস্য নির্বাচনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলে কিছু করতে হবে আইনে নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি ভাল ভাবে জেনে খুঁজ খবর নিয়ে দেখছি।






Shares