পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সরাইল রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক



সরাইল প্রতিনিধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আবারও রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গতকাল দুপুরে উপজেলার দুই ইউনিয়নের বাসিন্ধাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশু সহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, নোয়াগাঁও ও কালিকচ্ছ ইউনিয়নের লোকজনের মধ্যে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক মামলাও হয়েছে। এসব কারনে উভয় ইউনিয়নের বাসিন্ধাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় উত্তেজনা দীর্ঘদিনের।
গত শনিবার রাতে কালিকচ্ছ বাজারে সূর্যকান্দি গ্রামের দুলালকে রিক্সা চাপা দেয় নোয়াগাঁও গ্রামের সোহাগ (২২), জালাল (২৪) ও রুমন (২৫)। গতকাল দুপুরে দুলালের সেলুন দোকানে আসে নোয়াগাঁও গ্রামের ওই তিন যুবক। তারা দুলালকে খুঁজতে থাকে। দোকানে না পেয়ে দুলালের উদ্যেশ্যে ওই যুবকরা উচ্চবাচ্য করতে থাকে। এ ঘটনায় সমগ্র বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মূহুর্তের মধ্যে বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ওই যুবকরা দ্রুত বাজার থেকে সটকে পড়ে। পথিমধ্যে তারা কালিকচ্ছের একটি বাড়িতে প্রবেশ করে শিশু মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কূপিয়ে আহত করে। এর জের ধরে উভয় ইউনিয়নের সহ¯্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক সময় দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে চলে খন্ড যুদ্ধ। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে এক সময় রণ ক্ষেত্রে পরিনত হয় গোটা এলাকা।
সরাইল থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা থেকে দুই প্লাটুন দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল-মামুনের নেতৃত্বে ২২ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ৩০ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছুঁড়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। দুপুর ১টা থেকে বিকাল তটা পর্যন্ত ৩ ঘন্টা স্থায়ী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত: অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের জেলা সদর হাসপাতাল, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের পর কালিকচ্ছ বাজার জন শুন্য হয়ে পড়ে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আরশাদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।