Main Menu

সরাইলে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্টিত

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি অংশ লাঠি খেলা। ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি এখনো বেশ জনপ্রিয়। আবহমানকাল ধরে সরাইলে এক সময় বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে লাঠি খেলা। কিন্তু কালের বির্বতণে মানুষ আজ ভুলতে বসেছে এই খেলাটি।

ঢোল আর লাঠির তালে তালে নাচা নাচি। অন্য দিকে প্রতিপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বনের প্রচেষ্টা সম্বলিত টান টান উত্তেজনার একটি খেলার নাম লাঠি খেলা। লাঠি খেলা অনুশীলনকারীকে লাঠিয়াল বলা হয়। এই খেলার জন্য লাঠি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা, তবে প্রায় তৈলাক্ত হয়। প্রত্যেক খেলোয়ার তাদের নিজ নিজ লাঠি দিয়ে রণকৌশল প্রদর্শন করে।

সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিযনের কাঠানিশার গ্রামে মায়ের দোয়া ক্লাবের উদ্ধ্যেগে গতকাল সনিবার বিকালে এ খেলাটি অনুষ্টিত হয় এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ এর সংসদ এড. জিয়াউল হক মৃধা, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা সাদেক মিয়া, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কাজল চৌধুরী , সাবেক চেয়ারম্যন মো. মনসুর আহম্মেদ, মো. আ. মালেক , জাতীয় পাঠির নেতা তৌহিদুল ইসলাম ,ইউপি সদস্য মো. মিজান মিয়া প্রমূখ।
মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শুনলে আশেপাশের গ্রামের শতশত মানুষ সমাগণ ঘঠে।

অনুষ্টানে বক্তারা বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ এর সংসদ এড. জিয়াউল হক মৃধার কিছু নজর থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট হলেও এই খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করলে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এ খেলাগুলো চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলেও মনে করেন বক্তারা।

অনুষ্টানের প্রধান অতিতি এড. জিয়াউল হক মৃধা এমপি বলেন , দেশীয় সংস্কৃতি ধরে রাখতে বর্তমান সরকার বেশ আন্তরিক। তবে শুধু সরকার নয় সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা এবং তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্টান পরিচালনা করেন মো. বাচ্ছু মিয়া ।






Shares