Main Menu

হোল্ডিং টেক্স আদায়ের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সরকার_ সরকারি তদন্তে ব্যবস্থার সুপারিশ

+100%-

এম.ডি.মুরাদ মৃধা :: উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অবৈধভাবে হোল্ডিং টেক্স আদায় ও একই ব্যক্তির কাছ থেকে একাধিকবার টেক্স নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দিয়েছেন নাসিরনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার ৬নং বুড়িশ্বর ইউপির চেয়ারম্যান এটিএম মোজাম্মেল হক সরকার অবৈধভাবে জোরপূর্বক হোল্ডিল টেক্স আদায়ের নামে একই অর্থবছরে এক ব্যক্তিরর কাছ থেকে একাধিকবার টেক্স নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ দেন বুড়িশ্বর ইউপির বাসিন্দা হাজী সাফিল উদ্দিন ও আনু মিয়া সহ অন্যরা।

অভিযোগের প্রক্ষিতে সরেজমিন তদন্ত করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী। গত ৬ মার্স বুড়িশ্বর ইউপি পরিদর্শন করে প্রেরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ট্যাক্স এসেসমেন্ট অনুমোদন ব্যতিরেখে বিধি বহির্ভূত ভাবে ৩২ টি রশিদ বইয়ের মাধ্যমে সর্বমোট ৭৫৯০৭০ টাকা আদায়ের সত্যতা মেলে। যার মধ্যে ৭০১১৬৩ টাকা সোনালী ব্যাংক নাসিরনগর শাখার চলতি হিসাব ১৮৪৬ এ জমা করেন, বাকী ৫৭৯০৭ হাজার টাকা কোন রেজিস্টার দেখাতে পারেনি বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান।

উল্লেখিত ট্যাক্স আদায়ের লক্ষে চেয়ারম্যান ২২ ডিসেম্ভর ২০১৬ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের সভায় জনবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করেন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদর্শন করে। পরে ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ এর ৭নং স্মারক অনুযায়ী নুরুজ্জামান, মিন্টু মিয়া সহ নয় জনকে নিয়োগ দেন ইউপি চেয়ারম্যান যা স্থানীয় (ইউনিয়ন পরিষদ) আাইন ২০০৯ ও বিধিমালা পরিপন্থী।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যা, স্থানীয় সরকার(ইউপি) আইন ২০০৯ এর ৩৪ ধারার ৪ উপধারা মতে একজন চেয়ারম্যান স্বীয় পদ হতে অপসারণ যোগ্য হবেন যদি তিনি পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকেন। অথবা ক্ষমতা অপ-ব্যবহারের দোষে দোষী হন বা কোন অর্থ বা সম্পত্তি আত্মসাৎ এর জন্য দায়ী হন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই মর্মে ৮ মার্চ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গত ২০১৬ অর্থ বছরে বিজিএপ’র ১৬ টন মাল প্বার্শবর্তী হবিগন্জ জেলায় রাতের আধারে ট্রাকে করে বিক্রি করে। পরে বিষয়টি বিভিন্ন সাংবাদে প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট মন্রনালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাল চুরির কোন বিচার হয় নি।

প্রসঙ্গত বুড়িশ্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক অবৈধভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের অভিযোগ উঠে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি। তখন ভিক্ষুক,ভূমিহীন, বিধবা,শারীরিক প্রতিবন্ধী সহ অসহায়-অস্বচ্ছল লোকদের কাছ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে ইউনিয়নের লক্ষীপুর সহ অন্যান্য গ্রামের সহস্রাধীক লোক। তখন বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার হলে এটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকের ছায়েদুল হক পর্যন্ত গড়ায়। মন্ত্রী তৎক্ষনাক মোবাইল ফোনে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি খোজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে মো: হাবিবুর রহমান, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার মন্রনালয়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া বলেন আমরা বিষয়টির দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। অপরাধী যেই হোক সে শাস্তি পাবে।






Shares