মুক্তবুদ্ধির চর্চায় যারা হামলা করবে-বাধার সৃষ্টি করবে তারা ব্যর্থ হবে,ধ্বংস হবে–পুলিশ সুপার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান পিপিএম(বার) বলেছেন বর্ষবরণের মতো সার্বজনীন উৎসব সহ মুক্তবুদ্ধির চর্চায় যারা হামলা করবে-বাধার সৃষ্টি করবে তারা ব্যর্থ হবে,ধ্বংস হবে। বর্তমান সরকার কোনোভাবেই জঙ্গীবাদী-সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির উপর আঘাত করতে দেবে না। তিনি আরো বলেন,বাঙ্গালী শতশত বছর ধরে অন্তরের মাধূর্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসব করে আসছে। এই বর্ষবরণ উৎসব আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় বাঙ্গালী সবসময় লড়াই করে এসেছে-ভবিষ্যতেও করবে। তিনি আরো বলেন,অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর।
তিনি গত শুক্রবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের ২১ বছরের পথচলায় বর্ষবরণে প্রীতিসম্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রীতিসম্মিলনী ও বর্ষবরণ উৎসব উদ্ধাধন করেন ত্রিপুরার বিশিষ্ট নজরুল গবেষক,সঙ্গীতগুরু মায়া রায়।
এসময় তিনি বলেন,আমাদের ছোটবেলায় বর্ষবরণের এমন আনুষ্ঠনিকতা ছিলো না কিন্তু ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ থাকতো। বর্তমানে বর্ষবরণের এমন ব্যাপকতা দেখে আমি ভীষণ আপ্লুত হয়েছি। এই বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে আমরা বাঙ্গালীয়ানকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ আজ একপথে মিলিত হয়েছে বর্ষবরণের উৎসবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা এটিএম ফয়েজুল কবীরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার দাস,নির্বাহী সদস্য সায়মা হকের সঞ্চালনায় এসময় বর্ষবরণের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরক্তি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন,প্রবীণ নারী ও সংস্কৃতি সংগঠক নন্দিতা গুহ,বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক নাজু,সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী আফজাল হোসেন নেসার,দৈনিক তিতাসকন্ঠের সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রেজা,পৌর কলেজ অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথ,সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়াম্যান ও সংগঠন উপদেষ্টা এড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠন উপদেষ্টা দীপক চৌধুরী বাপ্পী,আবরনীর নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ,সাংবাদিক উজ্জল চক্রবর্তী।
স্বাগত ভাষণ দেন সংগঠনের সম্পাদক বাছির দুলাল।সঙ্গীত পরিবেশন করেন ত্রিপুরার তরুন কন্ঠশিল্পি পারিজাত দেব,ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পি নবনীতা রায় বর্মণ,জুমানা কামাল,সোহাগ রায়।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ছোটদল মাইশা,নুদরাতের নেতৃত্বে ও বড়দল তামিরা,সুস্মিতার নেতৃত্বে সমবেত মঙ্গল আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের নির্বাহী সদস্য রোকেয়া দস্তগীরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন খুশী তেমন সাজ ও অভিভাবকদের মধ্যে সাজ-সজ্জায় বাঙ্গালিয়ানা বিষয়ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সকল উপস্থিতিদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বাঙ্গালী ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলি-মোয়া-সন্দেশ বিতরণ করা হয়।