ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধিকার আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ — জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা আহমেদ
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা দক্ষতা বিকাশ প্রশিক্ষণ উপজেলা পর্যায়ের সদর উপজেলার ২য় ব্যাচের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিবাসী পরিবার কল্যাণ শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা আহমেদ। বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি জুম্মান আজিজ ইমা’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক কমরেড নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র ট্রেইনার মোঃ খালেকুজ্জামান ও ট্রেইনার মোঃ আওলাদ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বদেশি’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আজিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা আহমেদ বলেন, নারী যুগ যুগ ধরে শোষিত ও অবহেলিত হয়ে আসছে। পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় গোঁড়ামী, সামাজিক কুসংস্কার, কুপমন্ডুকতা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বেড়াজালে তাকে সর্বদা রাখা হয়েছে অবদমিত। গৃহস্থালী কাজে ব্যয়িত নারীর মেধা ও শ্রমকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। নারী আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের আহবান জানিয়ে বলেছিলেন “তোমাদের কন্যাগুলিকে শিক্ষা দিয়া ছাড়িয়া দাও, নিজেরাই নিজেদের অন্নের সংস্থান করুক”। তার এ আহবানে নারীর অধিকার অর্জনের পন্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা রয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এ দেশের নারী জাগরণে সাড়া পড়েছিল সাধারণত: শিক্ষা গ্রহণকে কেন্দ্র করে। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নারী তার অধিকার আদায়ে সচেতন হয়ে ওঠে। বায়ান্ন-এর ভাষা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধিকার আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।