Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের যন্ত্রণা ব্যাটারি-চালিত রিক্সা, আগামী ১লা নভেম্বরের পর থেকে চলতে দেওয়া হবে না

+100%-
P

P

বিশেষ প্রতিবেদন :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নতুন যন্ত্রণা ব্যাটারি-চালিত রিক্সা।দেশের অধিকাংশ জেলা শহরে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবাধ চলাচল রয়েছে। বেসরকারি হিসাব মতে, এর সংখ্যা দেড় হাজারেরওউপরে। রিক্সার অস্বাভাবিক গতি, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের রিক্সা চালনা, যেখানে সেখানে জটলা শহরের বিশৃঙ্খল অবস্হার সৃষ্টি করছে। তার উপর বিদ্যুতের অপচয় তো আছেই। শহরের মহল্লাগুলোর ভিতরে এসব রিক্সার অত্যাচারে হাটাই দায় হয়ে দাড়িয়েছে পৌরবাসীর। ব্যটারি চালিত হওয়ায় যানগুলোর স্পীড অস্বাভাবিক।14803269_1284860678212741_952880564_o
সহজাতভাবে এটাকে কন্ট্রোল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তখনই ঘটে দূর্ঘটনা।তাছাড়া লাইসেন্স না থাকায় এসব রিক্সার পরিমান প্রতিদিন হু হু করে বেড়ে শহরটাকে একটা রিক্সার শহরে পরিণত করেছে। ব্যাটারি চালিত রিক্সা শহরে আর চলতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। শহরকে যানজট মুক্ত এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেই জনস্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান, এ শহরটা আপনার আমার সকলের। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি যানজট মুক্ত করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সম্মিলিত ভাবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যে কোনও লোক এ রিক্সায় উঠলে বুঝবে এ রিক্সাটি কতো রিস্কি। তাছাড়া এ রিক্সাটি দিন দিন নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বাড়ছে। তাই জনস্বার্থেই এটির নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

14813026_1284860721546070_1645756219_oজেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা যায়, আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ সকল রিক্সার ব্যাটারী ও মটর নিজেরা খুলে ফেলে, তাহলে তো ভালো। না খুলে নিলে অতি শ্রীঘ্রই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধের পাশাপাশি জনগণের হাটা চলা নির্বিঘ্ন করার জন্য মসজিদ রোড, টি.এ.রোড, কোর্ট রোড, কাউতলী সহ শহরের অন্যান্য ব্যস্ত সড়কের ফুটপাতের দোকান-পাট তুলে দেয়া হবে।ইতিমধ্যে এ কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। ব্যাটারী ও মটর ছাড়া রিক্সা অবাধে চলাচল করুক এতে প্রশাসনের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কিছুদিন পর যে সকল রিক্সায় ব্যাটারী ও মটর চালিত থাকবে এসব রিক্সার মটর ও ব্যাটারী খুলে নেওয়া হবে।এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।পাশাপাশি আঞ্চলিক মহাসড়কে নম্বরবিহীন সিএনজি চলাচল বন্ধে এবং মোটর সাইকেলে দুইজনের বেশী চলাচল নিষিদ্ধ এবং হেলমেট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তও গ্রহন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এ ক্ষেত্রে সকলর সহযোগিতা কামনা করেছে।
একই কথা জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈনুর রহমান । তিনি বলেন,প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বদ্ধ পরিকর। আগামী ১লা নভেম্বরের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ব্যাটারী দ্বারা মটর চালিত রিক্সা চলতে দেওয়া হবে না।; যারা ব্যাটারী চালিত রিক্সা রাস্তায় বের করবেন এসব রিক্সার ব্যাটারী ও মটর খুলে নেওয়া হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।।এ ক্ষেত্রে আর ছাড় দেবার সুযোগ নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র বলেন, এটিকে প্রশাসনের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে পৌর কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য সবকিছু করবে।

14796021_1284860654879410_638484150_oউল্লেখ্য, ০২/০৭/২০১৫ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত ‘ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা-এর রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে আইনে প্রদত্ত সংজ্ঞা, নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত অসুবিধাসহ সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা অন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন’ সংক্রান্ত গাইড লাইন বা নির্দেশনা, যা স্মারক নং-১/৪৬. ০৭০. ০৫৪. ০০. ০০. ০৭২. ২০১১. ৭১৪ এর মাধ্যমে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদেরকে সরবরাহ করা হয়।
ঐ গাইড লাইনে বলা হয়, (১) ব্যাটারি চালিত যানবাহন সমূহের নিরাপত্তাগত দিক সন্তোষজনক না হওয়ায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনার আলোকে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে এদের চলাচল বন্ধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখতে হবে,






Shares