ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে:: সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মোকতাদির চৌধুরী এম.পি
ডেস্ক২৪:: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, মুক্তিযোদ্ধা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বর্তমানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, গত ১২ জানুয়ারি দিনভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের হামলা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, বাঙ্গালীর কৃষ্টি, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংসের জন্যই হামলা। তিনি বলেন, যারা এই হামলা করেছে তারা রাজাকার, আল বদরদের পেতাত্মা। তিনি বলেন, কারো সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা সবাই মিলে মিশে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গড়তে চাই।
মোকতাদির চৌধুরী এম.পি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ ধ্বংসে নয় উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমি হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করি। ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন।
সভায় গত ১১ এবং ১২ জানুয়ারি মৌলবাদিদের তান্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়, প্রশিকা কার্যালয়, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এম.পি অ্যাডভোকেট আলী আজমের বাসভবন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় ভাংচুর-ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা করা হয়।
সভায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিশিস্ট সমাজসেবক হাজী ধন মিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার আওয়ামীলীগ নেতাদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সভায় প্রতি দুই মাস পর পর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা করার প্রস্তাব করা হয়। সভায় সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়, সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখলেছুর রহমান খোকনকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে জনসভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।