জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন : বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কেউই প্রার্থী নন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন বারবার তারিখ পরিবর্তনে যে দুরাশা দেখা দিয়েছিল তা কেটে গেছে। ১২ই নভেম্বর সম্মেলন হচ্ছে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে। শহর ঢাকা পড়েছে ব্যানার-ফেস্টুনে। তোরণের কমতি নেই। শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার পর বেড়েছে তোড়জোড়। ওই সভায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে সম্মেলন সফল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ই অক্টোবরের সভায় গঠন করা উপ-কমিটিসমূহ ওই সভায় আবারো আলোচনা করে ঠিকঠাক করা হয়।
তবে উপ-কমিটি আলোচনার শুরুতে সভায় উত্তেজনা ছড়ায়। সম্মেলন সফলে ১০টি উপ-কমিটি করা হয়েছে। সব ছাপিয়ে এখন আলোচনা কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। যদিও বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক দু’জনেই প্রার্থী নন বলে জানিয়েছেন। আল মামুন সরকার বলেন, আমি কোনো ক্যান্ডিডেট নই। আমার রাজনৈতিক জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগ- কোথাও আমি চেয়ে পদ নেইনি। দলই নির্ধারণ করেছে কখন কোন পদে থাকবো। বিগত সম্মেলনে আমি কোন প্রার্থী ছিলাম না, এবারের সম্মেলনেও আমি প্রার্থী নই। বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনও একই কথা বলেছেন।
তিনি বলেন- দলের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক যে পদেই রাখেন আমি দলের জন্য কাজ করে যাবো। র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন-আমি কোনো পদেই প্রার্থী না। এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার। তিনি যাকে রাখেন, সেই থাকবে। আমাকে রাখলে রাখতে পারেন। তবে আমি ক্যান্ডিডেট হয়ে থাকবো না। তবে ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারে পদ আকাক্সক্ষা করেছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, মহল্লা-ওয়ার্ডের লোকজন ডেকে সভা করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থী বর্তমান সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খোকন। তবে ডামি প্রার্থী হিসেবেও নাম ছড়িয়েছে অনেকের। জেলার সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাঞ্ছারামপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং নাসিরনগর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের নাম আলোচনায় আছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
সভাপতি হিসেবে জেলার কসবা-আখাউড়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মো. আনিসুল হকের নাম আগে জোরেশোরে আলোচিত হলেও এখন সেটি নেই। তিনি নিজ উপজেলা কসবার সভাপতি হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু এবং মাঈন উদ্দিন মঈনের নাম আলোচনায় আছে। তবে মন্টুর ব্যাপক প্রচারণা দৃশ্যমান। তবে পোক্ত আলোচনায় বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকই আবার স্বপদে থাকছেন। আবার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার সদ্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন দলের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে পারেন বলেও আলোচনা ছড়িয়ে আছে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ হিসেবে দলের একনিষ্ঠ কর্মী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।