Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, সাবেক এমপি, প্রয়াত জননেতা এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর কবর জিয়ারত

এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়-মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এড. মোঃ ছায়েদুল হক এমপি

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, সাবেক এমপি, প্রয়াত জননেতা এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর কবর জিয়ারত করলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী এড. মোঃ ছায়েদুল হক এমপি। গতকাল শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার সোহাতে গ্রামে চিরশায়িত এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর কবর জেয়ারত করেন তিনি। এসময় মরহুমের কবরে পূষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ গ্রহন করেন। কবর জেয়ারতের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শফিকুল আলম (এম.এস.সি.), জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা নাগরিক সমাজ এর সভাপতি হাজী তাজ মোঃ ইয়াছিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস মিনারা আলম, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. শাহনুর ইসলাম, এড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর ছোট আল মামুন মনোয়ারুল হাই, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ মুরাদুল হুদা, মোঃ মাহমুদ আলম, মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, মোঃ ইকবাল হোসেন, হাসিনা বেগম, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। পরে তিনি সোহাতা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এড. লুৎফুল হাই সাচ্চু স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দেয়া মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি বলেন “এড. লুৎফুল হাই সাচ্চু অত্যন্ত জনপ্রিয়, সৎ, ত্যাগী ও সাহসী নেতা ছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহ ভাজন ছিলেন। তার গুনের কথা এই অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হবে না। তাঁর সাথে আমারও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক ছিলো। তাদের পরিবারের সাথে আমি ছাত্র জীবন থেকেই জড়িত ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ সময় তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও গেরিলা উপদেষ্ঠা। পূর্বা অঞ্চল কমান্ডে তিনি ছিলেন ১ নম্বর, আমাকেও তার সঙ্গে রেখেছিলেন। আমি যতবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসতাম তার সাথে দেখা করতাম। তিনি কোনদিন আমাকে তার বাড়িতে না খাইয়ে ছাড়তেন না”। অবেগ আপ্লত কন্ঠে তিনি আরো বলেন “আজ সাচ্চু ভাই জীবিত নাই। তার কথা আমার প্রায়ই মনে পরে। আমি আমার কল্পনায় তার স্মৃতি অনূভব করি। আমি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবার নয়। তিনি আজ জীবত থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও দৈন্যতা সৃষ্টি হয়েছে; তা হতো না”।

আলোচনা সভায় স্থানীয় মুরুব্বী ও আগত অতিথিবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, উল্লেখ্য সোহাতা গ্রামে এই প্রথম কোন পূর্নাঙ্গ মন্ত্রীর আগমনে গ্রামের উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি






Shares