“জঙ্গীবাদ নির্মূলে, মুুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণ কে উদ্বুদ্ধকরণ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা
একাত্তরের চেতনায় দেশবাসীকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে
১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৫ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ১৭দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ৭ আগস্ট সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে শিল্পকলা এডাডেমী মিলনায়তনে বিকাল ৪টায় “জঙ্গীবাদ নির্মূলে, মুুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণ কে উদ্বুদ্ধকরণ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজকোর্টের ভারপ্রাপ্ত পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ এস এম ইউসুফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, আলী আকবর প্রমুখ। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ্ এর সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট নাট্যকার আনোয়ার হোসেন সোহেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, আব্দুল বাছির, আফছারুন্নবী মোবারক, মোঃ তাজুল ইসলাম, খন্দকার মতিউর রহমান, মোঃ আলমগীর, জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের চেতনায় দেশবাসীকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। বর্তমান সরকার জঙ্গীবাদের বীজ অঙ্কুরিত ও উত্থান হতে দেবে না। কোন জঙ্গীর স্থান, সন্ত্রাসের স্থান বাংলাদেশে হবে না। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ হবে সবচেয়ে শান্তিময় দেশ। এ সময় বক্তারা সন্ত্রাস- জঙ্গীবাদ নির্মূলে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ছেলেমেয়েরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে সেটি মা-বাবাসহ অভিভাবকদের সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে। তাদের বিপথে যাওয়া থেকে থামানোর দায়িত্ব সবার।